Hanuman puja: নানা সমস্যায় জর্জরিত? হনুমান জীর এই পাঁচ প্রসাদে করুন কেল্লাফতে

Do Hanuman puja to get rid of various problems in life: হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে সপ্তাহের প্রত্যেকটি দিন কোনো না কোনো দেবদেবীর জন্য উৎসর্গীকৃত। এই দিনগুলিতে দেবতাদের প্রসন্ন করার জন্য তাঁদের প্রিয় ফুল-ফল প্রভৃতি উপকরণ নিবেদন করা হয়। প্রতিটি দেবতারই প্রিয় ফুল-ফল রয়েছে। যেমন মা লক্ষ্মী দেবীর প্রিয় ফল শ্রীফল অর্থাৎ নারিকেল। প্রিয় ফুল পদ্মফুল। তেমনি সপ্তাহের মঙ্গলবার হল বজরংবলীর দিন। এদিন পূজা করুন হনুমানজির (Hanuman puja)। বজরংবলীর রয়েছে প্রিয় পাঁচ প্রসাদ। যা তাঁকে নিয়ম অনুসারে নিবেদন করলে পূরণ হয় মনস্কামনা। বাড়িতে লক্ষ্মীর আগমন ঘটে, দূর হয় সমস্ত বাধা-বিপত্তি। রইল ৫ প্রসাদের তালিকা সহ হনুমানজির প্রভাব বিবরণ।

হনুমানজির প্রিয় ৫ প্রসাদ

নারিকেল

শাস্ত্রমতে, বজরংবলীর প্রিয় ফল হল নারিকেল। মঙ্গলবার বা শনিবার বজরংবলীর পূজায় (Hanuman puja) নারিকেলের খোসা ছাড়িয়ে গোটা নারকেল নিবেদন করুন। প্রসন্ন হবেন রাম ভক্ত হনুমান। রক্ষাকর্তা হিসেবে আপনার বাড়িতে আগমন ঘটবে বজরংবলীর। সব বিপদ হরণ করে নেবেন হানুমানজি।

পান

হনুমানজির আরো এক প্রিয় প্রসাদ হলো পান। আপনি যদি কোনো শুভ কাজে অগ্রসর হন তার আগে বজরংবলীকে অর্পণ করুন পান। দেখবেন সেই কাজে সফল হতে পারবেন। হনুমানজির আশীর্বাদে সুষ্ঠুভাবে সেই কাজ সম্পন্ন হবে। ব্যবসায়িক কাজকর্ম শুরু করলেও সেখান থেকে ভালো অর্থ লাভ করতে পারবেন।

অমৃতি

মিষ্টি জাতীয় এই খাবার বজরংবলীর প্রিয় ভৌগ। কোনো ব্যক্তি যদি ইষ্ট দেবতার কৃপা লাভ করতে না পারেন, নানা বাধা-বিপত্তি যদি সেই ব্যক্তিকে গ্রাস করে তাহলে তিনি হানুমানজির কাছে নিবেদন করতে পারেন অমৃতি। মঙ্গল-শনিবার এই মিষ্টি জাতীয় খাবার দিয়ে হনুমানজির পূজা করলে তিনি প্রসন্ন হবেন। সেই ব্যক্তির ব্যক্তিগত-পেশাগত উভয় জীবনে শুভ প্রভাব আনবে।

ক্ষীর

ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী, ক্ষীর হনুমানজির প্রিয় প্রসাদ হিসেবে মনে করা হয়। তাই গৃহে লক্ষ্মীর আগমন ঘটাতে বজরংবলীর পূজায় নিবেদন করুন ক্ষীর। এই প্রসাদে সন্তুষ্ট হয়ে বজরংবলীর কৃপায় আপনার গৃহ থেকে দূর হবে অলক্ষ্মী। পাশাপাশি সেই বাড়ির উপর আশীর্বাদ বর্ষিত হবে মহালক্ষ্মীর। শুধু তাই নয়, পরিবারে সুখ-শান্তিও দেখা যাবে, কেরিয়ার জীবনেও আসবে উন্নতি।

গুড় এবং চানা

বজরংবলীর পূজায় (Hanuman puja) ভোগ হিসেবে নিবেদন করুন গুড় এবং চানা। জীবনের সমস্ত সমস্যা দূর করবে রামভক্ত হনুমান। সুখের মুখ দেখতে পাবেন সেই ব্যক্তি সহ পরিবারের সকলে। আর্থিক পরিস্থিতিও মজবুত হবে। বজরংবলীর দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার-শনিবারে এই ভোগ ভগবানের কাছে অর্পণ করতে পারেন।