Never make a mistake when it comes to Tulsi puja rituals in Kharmas: হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের বিশ্বাস অনুযায়ী তুলসী গাছকে গৃহের জন্য অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষরা বিশ্বাস করেন তুলসী গাছে বিরাজ করেন স্বয়ং দেবী লক্ষ্মী। তাই নিয়ম মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে তুলসী দেবীর সেবা করলে অত্যন্ত খুশি হন দেবী লক্ষ্মী এবং সেই সঙ্গে ভক্তদের আশীর্বাদ করেন। তার আশীর্বাদ লাভ করলে ভক্তের জীবন সুখ সমৃদ্ধির পাশাপাশি প্রভূত ধনে ভরে ওঠে। তবে লক্ষী দেবীর রোষের কবলে পড়লে সেই মানুষের জীবন দুঃখ দারিদ্রতে ভরে ওঠে। এই কারণেই জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে নিয়মিত তুলসীর সেবা করা হয় সেখানে সর্বদা লক্ষ্মী দেবীর আশীর্বাদ বিরাজ করে। যারা নিয়মিত তুলসীর পুজো করেন তাদের বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পায় (Kharmas rituals)।
১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে শুরু হতে চলেছে খরমাস এবং শেষ হবে ১৪ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখে। এই সময় তুলসী সংক্রান্ত কিছু বিশেষ বিষয় মেনে না চললে লক্ষ্মী দেবী অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হন। তাই ভালো খেতে তুষ্ট করার জন্য অবশ্যই খর মাসে মেনে চলা উচিত কয়েকটি নিয়ম (Kharmas rituals)। এই নিয়মগুলি মানলে খুশি হন তুলসী দেবী। আর সেই সঙ্গে ভক্তের জীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
১) খর মাসের পতিত একাদশী তিথিতে এবং মঙ্গলবার ও রবি বার তুলসী গাছ থেকে তুলসী পাতা ছেঁড়া একেবারেই উচিত নয় (Kharmas rituals)। এমনকি এই দিন গুলিতে তুলসী গাছ জল দেওয়াও নিষিদ্ধ। এতে রুষ্ট হন দেবী। এবং এর ফলে ঘরের মধ্যে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পায়। ফলে গৃহস্থের জীবনে নানা কু প্রভাব পড়ে।
২) খরমাসের সময় তুলসীকে সিঁদুর অর্পণ করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এই কাজ করলে দেবী অত্যন্ত কুপিত হন।
৩) খর মাসের সময় অসহায় মানুষকে কোনো কিছু দান করা অত্যন্ত শুভ ফল দেয় (Kharmas rituals)। এই সময় কাউকে কোনো কিছু দান করলে তীর্থযাত্রার মতো পূণ্য লাভ হয়। কি সময় অসহায় মানুষ এবং সাধু সন্ন্যাসীকে সেবা করলে লক্ষী দেবীর কৃপায় অর্থাভাব জীবন থেকে সম্পূর্ণভাবে দূর হয়।