How long after puja do you eat prasadam of God: হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে পৌষ মাসের শেষ দিন অর্থাৎ পৌষ সংক্রান্তির দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। পৌষ সংক্রান্তির দিন বাঙালির ঘরে ঘরে লক্ষী পুজোর আয়োজন করা হয়। প্রতিটি বাড়িতেই এই দিন সাধ্যমত লক্ষীদেবীর আরাধনায় মেতে ওঠেন ভক্তরা। এ দিন নতুন ফসল আসে বাড়িতে। নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দে লক্ষ্মীর চাল পাল্টানো, আউরি-বাউরির ইত্যাদি নানা ধরনের রীতি পালন করা হয়। তবে পৌষ সংক্রান্তিতে তিথিতে লক্ষী পুজো করলে অন্য লক্ষ্মী পুজোর থেকে কিছুটা আলাদা নিয়ম নীতি পালন করতে হয়। নিয়ম এবং নিষ্ঠা সহকারে ধন-সম্পদের আরাধনা করার পর সেই প্রসাদ বিলিয়ে দেয়া হয় সকলের মধ্যে। হিন্দু ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে পুজোর প্রসাদ বিলি করা অত্যন্ত মঙ্গলজনক একটি কাজ। তবে পুজোর পরে পুজোর প্রসাদ (God Prasadam) বিতরণ করার জন্য শাস্ত্র অনুসারে কিছু নিয়ম মানতে হয়। দেখে নিন পুজোর প্রসাদ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঠিক কি কি নির্দেশ দিচ্ছে শাস্ত্র।
১) শাস্ত্র অনুসারে বিশ্বাস করা হয় যে কোনো ভগবানের পুজো করার পর সেই পুজোর প্রসাদ (God Prasadam) ২ থেকে ৪ মিনিটের জন্য ঠাকুরঘরে ঠাকুরের সামনে রেখে দেওয়া উচিত। পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই ঠাকুরের সামনে থেকে সেই প্রসাদ তুলে নেওয়া উচিত নয়।
২) শাস্ত্র অনুসারে মনে করা হয় পুজোর পর ঠাকুরের প্রসাদ ঘন্টার পর ঘন্টা ঠাকুরের সামনে ফেলে রাখা উচিত নয়। বহু সময় ধরে ঠাকুরের সামনে প্রসাদ ফেলে রাখা কে শুভ বলে মনে করা হয় না।
৩) ঠাকুরের সামনে নৈবেদ্য রাখার সময় তা কখনোই সরাসরি মাটির উপর রাখা উচিত নয়। কোনো পাতা বা কোনো পাত্রের উপর রেখে তারপর তা ঠাকুরের সামনে রাখা উচিত। সেই সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে ভগবানের সামনে প্রসাদ নিবেদন করার সময় একটি পর্দা দিয়ে সেই নৈবেদ্য ঢেকে দিতে হবে।
৪) ভগবানের পুজোর সময় ভোগ (God Prasadam) নিবেদন করতে গিয়ে জল দিতে ভুলে যাওয়া একেবারেই উচিত নয়। ভগবানকে ভোগ দিলে সব সময় তার সঙ্গে জল দেওয়া উচিত।
৫) বেশিরভাগ দেবতাকে নৈবেদ্যতে মিষ্টি নিবেদন করা হয়। শাস্ত্র অনুসারে ঈশ্বরের ভোগে মিষ্টি নিবেদন করেই শুভ। ভুল করে কখনোই ভগবানকে নিবেদন করা ভোগের মধ্যে লঙ্কা বা লবণ দেওয়া উচিত নয়।