Pushkar Mandir Rajasthan: এই মন্দিরে পুরুষের প্রবেশ সম্পূর্ন ভাবে নিষিদ্ধ! এর কারণ কি জানুন!

Entry of men is strictly prohibited in Rajasthan’s Pushkar Mandir: হিন্দু ধর্মে বহু দেবদেবীর আরাধনার রীতি প্রচলিত আছে। সাধারণত দেবতার আরাধনার ক্ষেত্রে নারী পুরুষের কোনো বিভাজন করা হয় না। পুরুষ বা নারী, যে কোনো মানুষই ভগবানের কাছে পুজো দিয়ে নিজের মনস্কামনা জানাতে পারেন। কিন্তু আমাদের ভারতবর্ষের রাজস্থানে (Pushkar Mandir Rajasthan) এমন এক মন্দির আছে যেখানে পুরুষের প্রবেশাধিকার সম্পূর্ন ভাবে নিষিদ্ধ। অথচ বিনা বাধায় এই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন মহিলারা। নারী পুরুষের ঈশ্বর দর্শনের ক্ষেত্রে কেনো এত বিভাজন জেনে নিন।

পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে জানা যায় এই সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি কর্তা হলেন প্রজাপতি ব্রহ্মা। কিন্তু অন্যান্য সব দেবতার আরাধনা করা হলেও পৃথিবীতে প্রজাপতি ব্রহ্মার পুজোর চল তেমন ভাবে নেই বললেই চলে। ব্রহ্মা দেবের মন্দিরও খুব একটা নেই। থাকলেও সেগুলি সংখ্যায় খুবই সীমিত। তবে রাজস্থানে আছে প্রজাপতি ব্রহ্মার একটি বিশেষ মন্দির, যেটি পুষ্কর (Pushkar Mandir Rajasthan) মন্দির নামেও পরিচিত।

রাজস্থানের পুষ্কর (Pushkar Mandir Rajasthan) হ্রদের পাশেই অবস্থান করছে এই মন্দির। প্রজাপতি ব্রহ্মার এই মন্দিরের গর্ভ গৃহেই প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না কোনো পুরুষকে। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে জানা যায় ব্রহ্মা দেবের এই মন্দিরটি দেবী সরস্বতীর দ্বারা অভিশপ্ত। এই কারণে বিশ্বাস করা হয় যদি কোনো বিবাহিত পুরুষ এই মন্দিরের গর্ভ গৃহে প্রবেশ করেন তবে তার বিবাহিত জীবনের সম্পূর্ন ভাবে নষ্ট হয়ে যায়।

এর কারণ সম্পর্কে পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে জানা যায় প্রাচীন কলে পুষ্কর হ্রদের তীরে ব্রহ্মা দেব যজ্ঞ করবেন বলে স্থির করেছিলেন। সময় মতো সেখানে তার স্ত্রী সরস্বতী দেবী উপস্থিত হতে না পারার জন্য প্রজাপতি ব্রহ্মা গায়ত্রী দেবীকে স্ত্রী রূপে গ্রহণ করেন এবং তাকে নিয়েই সেই যজ্ঞ সম্পন্ন করেন। এতেই ক্রুদ্ধ হয়ে ব্রহ্মা পত্নী দেবী সরস্বতী অভিশাপ দেন এই পুষ্কর মন্দিরে (Pushkar Mandir Rajasthan) কোনো বিবাহিত পুরুষ প্রবেশ করলে তার বিবাহিত জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে।