Saraswati Puja Myths of Boroi: সরস্বতী পুজোর আগে কেন খাওয়া যায় না কুল? জানুন বিস্তারিত খুঁটিনাটি

The real reason for Myths about Boroi about Saraswati Puja: হিন্দুধর্মের বিভিন্ন পুজোর মধ্যে অন্যতম হলো সরস্বতী পূজা। আসলে এটি মূলত হলো শিক্ষার্থীদের পুজো। বাগদেবীর আরাধনা করে শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে উজ্জ্বল করার আশীর্বাদ চেয়ে নেয়। সরস্বতী পুজোর সম্পন্ন হয় মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে যা বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। গোটা বছর শিক্ষার্থীরা এই বিশেষ দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকে। কিন্তু সরস্বতী পুজোর আগে কোনোভাবেই কুল খাওয়া যায় না এই নিয়ম রয়েছে আমাদের হিন্দু শাস্ত্রে (Saraswati Puja Myths of Boroi)। কেন এই অদ্ভুত নিয়ম? আসল কারণ কি কারোর জানা আছে?

বাগদেবীকে এই ছোট্ট ফলটি উৎসর্গ করা হয় বিশেষ দিনে। পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এই ফলটি বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু সকলের প্রিয় হওয়া সত্ত্বেও এই টক মিষ্টি ফলটি কেউই খেতে পারেনা কারণ দেবী সরস্বতীকে উৎসর্গ না করে এই ফল খাওয়ার নিয়ম নেই (Saraswati Puja Myths of Boroi)। কুলের সঙ্গে সরস্বতী পুজোর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। শুধুমাত্র বাড়িতে নয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজেও সরস্বতী পুজো ধুমধাম করে পালন করা হয়।

সকাল থেকে উপোস করে অঞ্জলি দিয়ে তবেই কুল প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে শিক্ষার্থী থেকে শুরু সকলকেই। এমনকি দোয়াতের ওপরও নারকেলি কুল দেওয়ার প্রথা রয়েছে। ছোট থেকেই বাড়ির গুরুজনেরা বলে আসছে পুজোর আগে কুল খেলে দেবী রুষ্ট হন (Saraswati Puja Myths of Boroi)। এমনকি নিয়ম ভাঙলে নাকি ভালো নম্বর পাওয়া যায় না।

পশ্চিমবঙ্গ হলো কৃষি প্রধান রাজ্য। তাই মরশুমের প্রথম ফল দেবীকে উৎসর্গ না করে সাধারণ মানুষ মুখেও দেয় না, এটাই এর পেছনের আসল কারণ। পৌষ-মাঘ মাসে সাধারণত ভালো কুল বাজারে পাওয়া যায়। তাই বসন্ত পঞ্চমীতে দেবীকে সেই ফল উৎসর্গ করা হয়। দেবীকে উৎসর্গ না করে সেই জন্যই কুল খাওয়ার নিয়ম নেই (Saraswati Puja Myths of Boroi)। এছাড়া বসন্তকালে বিভিন্ন রকমের রোগ দেখা দেয় যেমন, সর্দি-কাশি, জ্বর, পেটের সমস্যা। এই সময়ে আধ পাকা বা কাঁচা কুল খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটাও একটা বড় কারণ।

আরও পড়ুনঃ তুলসী গাছের যত্ন নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে মানতে হবে গুরুত্বপূর্ণ এই ৬টি টিপস

হিন্দুশাস্ত্র মতে, দেবী সরস্বতীকে তুষ্ট করতে দীর্ঘদিন তপস্যা করেছিলেন ব্যাসদেব। তপস্যার আগে দেবী সরস্বতী তাঁর তপস্যাস্থলের পাশেই একটি কুল বীজ রেখে শর্ত দিয়েছিলেন, যতদিন না কুল বীজ অঙ্কুরিত হয়ে বড় গাছ হবে এবং সেই গাছের ফল পেকে ব্যাসদেবের মাথার উপর পড়বে, এই তপস্যা সফল হবেনা। পঞ্চমীর দিনে ব্যাসদেবের তপস্যা সফল হয়েছিল বলেই বসন্ত পঞ্চমীতে দেবীর আরাধনা করা হয়।

আরো পড়ুনঃ আচার্য চাণক্য বদলে দিতে পারে আমাদের ভাগ্য; জানুন কিভাবে সম্ভব এটি

যে কোনও লোকাচার বা শাস্ত্রের নিয়ম ছোটরা বুঝতে পারেনা সেই কারণে বাড়ির বড়রা তাদের ভয় দেখান যে, সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেলে পরীক্ষায় পাশ করা যাবেনা। ছোট থেকে বড় সকলেই তাই সরস্বতী পুজোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে। সরস্বতী পুজোর দিনটিকে বিভিন্ন রকমের কুল খেতে পারবে সকলে।