Maa Lakshmi Devi: ভুলেও বাড়িতে রাখবেন না এই ৬ জিনিস! লক্ষ্মী দেবীর রুষ্টতায় উন্নতির বদলে আসবে অবনতি

Maa Lakshmi Devi gets angry if these 6 things are kept at home: ভারতবর্ষ হলো বৈচিত্র্যময়ের দেশ। প্রাকৃতিক, সংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সর্বক্ষেত্রেই বৈচিত্রতা রয়েছে। তেমনি পার্থক্য রয়েছে দেশের বসবাসকারী মানুষের চিন্তা ধারাতে। এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা বাস্তুশাস্ত্র, জ্যোতিষশাস্ত্র বিভিন্ন শাস্ত্রে বিশ্বাসী। আবার অনেকে এইসব বিষয়গুলিকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেন। তবে বাস্তুশাস্ত্র বলছে আমরা দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু কাজ করে থাকি বা এমন কিছু জিনিস বাড়িতে রাখি যা বাস্ত থেকে লক্ষ্মীকে তাড়িয়ে দেয়। মা লক্ষ্মীর (Maa Lakshmi Devi) কোপে বাড়ির অবনতি ঘটে। বাস্তুদোষ হয়। কোন কোন জিনিস জেনে নিন।

আমরা কম-বেশি সকলেই সুখ-শান্তিতে বাস করতে চাই। তার জন্য নানান ধরনের ক্রিয়াকর্ম করে থাকি। তবে বাস্তুশাস্ত্র বলছে, বাড়িতে এমন ছয় অলক্ষ্মী থাকে যা গৃহে সুখ আগমনের দরজা বন্ধ করে দেয়। গৃহ অশান্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই সময় থাকতে বাড়িতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে এখনই বাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলুন সেই ৬ জিনিস। যা কম-বেশি প্রতি বাড়িতেই পরিলক্ষিত হয়। কোন ৬ জিনিস রইল তালিকা।

অন্ধকার ঘর

আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন? পরিশ্রমের পরেও ঠিকঠাক আয় হচ্ছে না? গৃহ সবসময় আলোয় আলোকিত করে রাখুন। মা লক্ষ্মী (Maa Lakshmi Devi) অন্ধকার নয়, আলো পছন্দ করেন। গৃহে সূর্যের আলো বিচ্ছুরিত হবে এমন জায়গার দরজা জানালা খুলে দিন। মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে। ঘর অন্ধকার রাখলেই মা লক্ষ্মী কুপিতা হন। সেই পরিবার থেকে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি দূরীভূত হয়।

চূর্ণ-বিচূর্ণ জিনিসপত্র

ভুলেও কখনো গৃহে ভাঙাচোরা জিনিসপত্র রাখবেন না। মা লক্ষ্মী মোটেও তা পছন্দ করেন না। যার ফলে লক্ষ্মী দেবীর রুষ্টতায় পরিবার নেতিবাচকতায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। সমস্যার বেড়াজালে জড়িয়ে পড়ে সেই পরিবার। তাই এখনই গৃহ থেকে দূর করুন চূর্ণ-বিচূর্ণ জিনিসপত্র।

আরো পড়ুনঃ মঙ্গল-বুধ-শুক্রের ত্রিগ্রহী যোগে ৫০ বছর পরে ভাগ্য ফিরতে চলেছে এই তিন রাশির

পুরনো বা জীর্ণ উপাদান

শুধু ভাঙাচোরা জিনিসপত্র নয়, বহুদিনের পুরোনো বা জীর্ণ ঘড়ি, জুতো পদ্মাসনা দেবীকে রাগান্বিত করে তোলে। পরিবারের শান্তি বিঘ্নিত হয়। আর্থিক সংকটে পড়তে হয় সেই পরিবারের সদস্যদের। কখনোই বাড়িতে পুরনো দিনের অচল ঘড়ি, জুতো বা অন্যান্য অকেজো জিনিসপত্র রাখবেন না।

এঁটো বাসনপত্র

এমন অনেক গৃহ রয়েছে যেখানে রাত্রিবেলা খাওয়ার পর এঁটো বাসন ফেলে রাখা হয়। যা পরিবারের জন্য অত্যন্ত অশুভ প্রভাব বহন করে। তাই প্রতিদিন খাওয়ার পর রাতের বেলা এঁটো বাসন মেজে তারপর ঘুমাতে যান। এতে মা লক্ষ্মী এবং শনিদেব তুষ্ট হন। পরিবারের উপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। তা না হলেই ঘটে বিপরীত ক্রিয়া।

আরো পড়ুনঃ দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার বাহন হলো হাতি; কিভাবে সে অর্জন করলো এই যোগ্যতা?

অপরিষ্কার

নোংরা আবর্জনা মোটেও পছন্দ করেন না পদ্মাসনা দেবী। তাই মা লক্ষ্মীকে (Maa Lakshmi Devi) তুষ্ট করতে এবং লক্ষ্মী দেবীর আশীর্বাদ পেতে গৃহসহ বিভিন্ন জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। বাড়ির উন্নতি বৃদ্ধি ঘটবে। সংসারে আয় উন্নতি আসবে। সদস্যদের মধ্যেও শুভ প্রভাব প্রভাবিত হবে।

কাঁটাযুক্ত গাছ

বর্তমানে বাড়ির সৌন্দর্যের জন্য অনেকেই বাড়ির বারান্দায় বা গৃহের সামনে নানা ধরনের গাছ লাগান। তবে এমন কিছু গাছ রয়েছে যা বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করলেও সুখ-শান্তি বিঘ্নিত করে। পরিবারে অভাব অনটন সৃষ্টি করে। বিশেষ করে কাঁটাযুক্ত গাছ। তাই বাড়িতে কখনই ক্যাকটাস বা কোনো কাঁটাযুক্ত উদ্ভিদ রোপন করবেন না। দেখবেন সর্বক্ষণ মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদের হাত সেই পরিবারের ওপর থাকবে।