Kiradu Shiva Temple: ভারতেই আছে আশ্চর্যজনক এক শিব মন্দির! এসময় গেলেই আপনিও হয়ে যাবেন পাথরের মূর্তি

If you go to Kiradu Shiva Temple, you will become a stone idol: হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের বহু মন্দির আমাদের বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বহু মন্দির আবার অজানা নানান রহস্যের বেড়াজালে মোড়া। কিন্তু আপনি কি জানেন এমন একটি শিব মন্দির আছে যেখানে গেলে মানুষ অভিশাপগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু আমরা মন্দিরে ভগবানের কাছে যায় তাকে পুজো করে আশীর্বাদ গ্রহণ করার জন্য। কিন্তু এই আশ্চর্যজনক মন্দিরে (Kiradu Shiva Temple) গেলে ভক্তরাই কেনো অভিশাপে জর্জরিত হয়ে পড়েন সেই সম্পর্কেই আজ জানাবো আপনাদের।

রাজস্থানের মরুভূমির পার্শ্ববর্তী একটি শহর হলো বারম। এই শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই আশ্চর্যজনক কিরাডু শিব মন্দিরটি (Kiradu Shiva Temple)। প্রায় ১১-১২ শতকের নির্মিত মন্দির গুলির ধাঁচেই তৈরি হয়েছে এই মন্দির। তবে এই মন্দির তার স্থাপত্যের থেকেও অনেক বেশি পরিচিত অন্য একটি কারণে। এই মন্দিরে রাত্রিযাপন করলেই নাকি সেই মানুষকে অভিশাপ ভোগ করতে হয়। সে অভিশাপে মানুষের জীবনহানির ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে পারে।

মরুভূমি ঘেঁষা শুকনো বালিয়াড়ি অঞ্চলে অবস্থিত এই মন্দির দিনের বেলায়ও কিরাডু শিব মন্দিরকে দেখলে বেশ গা ছমছম করে ওঠে। এই মন্দিরে ঢোকার মূল প্রবেশপথ জং ধরে বন্ধ হয়ে গেছে। এখন প্রবেশ করতে গেলে একটি ছোট দরজা দিয়ে ঢুকতে হয় মন্দিরের ভিতর। জানা যায় কিরাডকোট বা কিরাদকোট নামে পরিচিত এই স্থানে এক সময় ছিল রাজপুতদের রাজত্ব। কিরাদ বংশীয় রাজপুতরা এক সময় রাজত্ব করতেই এই স্থানে।

আরো পড়ুনঃ কেন সর্বদাই মহাদেবকে দেখা যায় বাঘের চামড়া পরতে; জেনে নিন আসল কারণ

সেই সময়কার ঐতিহ্যশালী জনপদ কিরাডুর বাসিন্দারা নির্মাণ করেছিলেন এই মন্দির। কথিত আছে দ্বাদশ শতকে এই স্থানে রাজত্ব করা পরমার বংশীয় রাজা সোমেশ্বর তুর্কি আক্রমণের ভয়ে এক সন্ন্যাসীর শরণাপন্ন হন। সন্ন্যাসী তার এক শিষ্যকে রেখে যান এখানে। তবে এক সময় সেই শিষ্য অসুস্থ হওয়ায় কিরাডুর এক কুম্বকারের স্ত্রী ছাড়া আর কেউ তার পাশে দাঁড়াননি।

আরো পড়ুনঃ মন্দির হওয়া সত্বেও কেনো কেউ পুজো করেনা এখানে; এর আসল রহস্য আসুন জেনে নিই

পরে সন্ন্যাসী ফিরে এসে তার শিষ্যের প্রতি কিরাডুর মানুষদের এই অবহেলা দেখে ক্রুদ্ধ হন এবং অভিশাপ দেন একমাত্র কুম্ভকারের স্ত্রী ছাড়া বাকি সব কিছু পাথরে পরিণত হবে। কুম্ভকার পত্নীকে সন্ন্যাসী বলেন সন্ধ্যার আগে কিরাডু ছাড়তে এবং যাওয়ার সময় পিছন ফিরে না তাকাতে। কিন্তু সেই নারী চলে যাওয়ার সময় কৌতূহল বশত পিছন ফিরে দেখেন গ্রামবাসীরা পাথর হয়ে আছেন। কিন্তু পিছন ফেরার অপরাধে তিনিও পাথর হয়ে যান। এই সময় থেকেই এই গ্রাম ও মন্দিরকে (Kiradu Shiva Temple) নিয়ে ছড়িয়ে আছে বহু জনশ্রুতি। তাই আজও সন্ধ্যার পর কেউ থাকেনা ওই মন্দির চত্বরে।