Chandan Yatra: কিভাবে পালন করা হয় রাধামাধবের চন্দনযাত্রা? আসুন জেনে নিই এই প্রতিবেদনে

How Chandana Yatra of Radha Madhav festival is celebrated: হিন্দুধর্মের মধ্যে বিশেষ করে বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী মানুষদের কাছে এই বিশেষ দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই হয়তো শুনেছেন রাধামাধবের চন্দনযাত্রা (Chandan Yatra) উৎসব সম্পর্কে। কিন্তু বিস্তারিতভাবে কজন জানেন এই উৎসবের ব্যাপারে? কেমন ভাবে পালন করা হয় এই দিনটি আজকের প্রতিবেদনে সবই জানতে পারবেন।

মায়াপুরের ইসকন মন্দির হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র একটি তীর্থক্ষেত্র। সারা বছরই এখানে ভক্ত সমাগম ঘটে। বিশেষ করে রাধামাধবের চন্দনযাত্রা (Chandan Yatra) উৎসবকে কেন্দ্র করে মায়াপুরের ইস্কন মন্দির যেন একটি মিলনমেলায় পরিণত হয়। দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর ভক্ত সমাগম ঘটে এই বিশেষ দিনে। মায়াপুর মন্দির যেন পরিণত হয় এক লীলাক্ষেত্রে।

চন্দনযাত্রার দিন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত স্তরের মানুষ রাধামাধবকে ভোগ দেন। আবার এই দিনেই বিগ্রহকে কাঁধে তুলে নিয়ে আসা হয় প্রভুপাদ সমাধি মন্দিরের পুষ্করিণীতে। এই পুষ্করিণীতেই রাধামাধব তার নৌকাবিহার সারেন। যেসব ভক্তরা রাধামাধবকে স্পর্শ করে পুণ্যলাভ করতে মরিয়া তারা সবাই মিলে ভিড় করছেন চন্দনযাত্রা (Chandan Yatra) উৎসবে।

জানেন কি কবে শুরু হয় রাধা মাধবের চন্দন যাত্রা (Chandan Yatra) উৎসব? বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে, অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে চন্দন যাত্রা উৎসব শুরু হয়। এ বিশেষ উৎসব চলে প্রায় ২১ দিন ব্যাপী। মায়াপুর ইস্কন-সহ দেশ-বিদেশের ভক্তরা এই দিন মিলিত হয় এক জায়গায়। সাধারণত এই উৎসব পালনের পিছনেও রয়েছে একটি বিশিষ্ট কারণ। গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে মুক্তি পাবার জন্যই মায়াপুর-সহ বিশ্বের সমস্ত ইসকন মন্দিরে একযোগে পালিত হয় চন্দনযাত্রা উৎসব। তবে সব থেকে বেশি ভক্ত সমাগম ঘটে মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে, যেনো মিলনমেলায় পরিণত হয় ইসকন মন্দির চত্বর।

আরো পড়ুনঃ শুক্রের প্রভাবে অর্থপ্রাপ্তি হবে এই তিন রাশির; ১৬ই মে থেকে শুরু শুভ সময়

রাধামাধবকে প্রচন্ড গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে মুক্তি দেবার জন্য সারা শরীরে চন্দন লেপন করা হয়। মনে করা হয় চন্দন শরীরে লেপন করলে শরীর ঠাণ্ডা হয়। উৎসবের ২১ দিন ধরে বিগ্রহের গায়ে চন্দন লেপন করা হয়। তারপর বিকেল হতেই ইসকনের প্রভুপাদ সমাধি মন্দিরের পুষ্করিণীতে নৌকাবিহার করানো হয় বিগ্রহকে। হরিনাম-সংকীর্তন করে ইস্কনের চন্দ্রোদয় মন্দির থেকে রাধামাধবের বিগ্রহ ভক্তদের কাঁধে করে নিয়ে আসা হয় সমাধি মন্দিরের পুষ্করিণীতে। নৌকার মধ্যে হরিনাম-সংকীর্তন এবং আরতিও হয়। বিগ্রহ তারপর সন্ধ্যের পর ফিরে আসে মূল মন্দিরে। প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে এই উৎসব। এই মনোরম দৃশ্যকে দেখবার জন্যই ভক্তবৃন্দের ভিড় নামে মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে।

চন্দনযাত্রা (Chandan Yatra) উৎসবে ভক্তরা রাধামাধবের কাছে যাওয়ার সুযোগ পান অর্থাৎ রাধামাধব বিগ্রহকে স্পর্শ করা, কাছ থেকে নৌকাবিহারের দৃশ্য দেখা এবং ভক্তরা তাঁদের প্রিয় প্রভুকে ভোগ নিবেদন করারও সুযোগ পান। পঞ্চব্যঞ্জন এ সাজিয়ে দেওয়া হয় এই ভোগ। কেউ দিচ্ছেন পায়েস, কেউ ক্ষীর, কেউ পাটিসাপটা! প্রভুর ভক্তরা দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে আসে প্রভুকে সেবা করার জন্য।