Money saving tips: পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অবহেলা? জলের মতো বেরিয়ে যাবে টাকা

According to money saving tips, neglecting cleanliness will cost money like water: বর্তমানে অর্থ উপার্জনের নানান দিক খোলা রয়েছে। কিন্তু উপার্জিত অর্থ সঞ্চয় করাটা বহু মানুষের কাছেই সবচেয়ে কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়। জিনিসপত্রের দাম প্রতিনিয়ত এতটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে আয়ের থেকে ব্যয়ের পরিমাণ বেশি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে যে শুধুমাত্র মূল্যবৃদ্ধি দায়ী, তেমনটি কিন্তু নয়। অনেক বাড়িতেই বেশ কিছু বাস্তুদোষ বা বেশ কিছু জ্যোতিষ সংক্রান্ত ভুল-ত্রুটি রয়েছে যা তাদের জীবনে টাকা-পয়সা ধরে রাখতে (Money saving tips) বাধা প্রদান করে। আজকের এই প্রতিবেদনে সেই সমস্ত বাস্তুদোষ বা ভুল ত্রুটিগুলি নিয়েই আলোচনা করা হবে।

দক্ষিণ-পশ্চিমে ভূগর্ভস্থ জলের ট্যাঙ্ক রাখা যাবে না: দক্ষিণ-পশ্চিম দিক অর্থ সঞ্চয় (Money saving tips) করার ক্ষমতাতে নির্দেশ করে। তাই দক্ষিণ-পশ্চিমে ভূগর্ভস্থ জলের ট্যাঙ্ক থাকলে গচ্ছিত টাকা হু হু করে বেরিয়ে যেতে পারে।

দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মুখ করে ঘুমানো এড়িয়ে চলুন: সঞ্চয় এবং ব্যয়ের মধ্যে একটি বিপরীত সম্পর্ক রয়েছে। সঞ্চয় করতে হলে, আপনাকে প্রথমে আপনার অর্থের বহিঃপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আপনার বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মাথা রেখে ঘুমালে অপ্রয়োজনীয় অপচয় এবং ব্যয় হতে পারে। এই অঞ্চলের শক্তিগুলি আপনার জীবন থেকে জিনিসগুলি নিষ্পত্তি করার জন্য কাজ করে।

দক্ষিণ-পূর্ব দিকে কালো এবং নীল রঙ করা যাবে না: আপনার বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিকটি আর্থিক সমৃদ্ধি নির্দেশ করে। পঞ্চ উপাদানের চক্র অনুসারে, অগ্নি উপাদান দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বিরাজ করে। এই দিকে রান্নাঘর থাকা ভালো, তবে সেই রান্নাঘরে কালো রঙের পাথর বা গ্রানাইট স্ল্যাব হিসাবে ব্যবহার করা একদমই ভালো নয়। কারণ কালো রঙ আপনার বাড়ির জলের উপাদানটির শক্তি হ্রাস করে। একইভাবে, এই দিকে দেয়ালের টাইলস বা রঙের ক্ষেত্রে নীল রঙ এড়ানো ভাল। কারণ এই দিকের নীল রঙ আর্থিক ক্ষতি নির্দেশ করে।

দক্ষিণ পশ্চিমে প্রবেশদ্বার বন্ধ করুন: আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট বা অফিসের দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রবেশদ্বার সবচেয়ে বড় বাস্তু ত্রুটির ঈশারা। কারণ রাহু গ্রহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের শক্তিগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, রাহু আপনার আর্থিকসহ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে।

রোজ সকালে শোওয়ার ঘরে বিছানা পরিষ্কার করা: আজকাল প্রতিটি মানুষের বিভিন্ন কাজে সকাল থেকেই ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু সেই ব্যস্ততার মাঝেও আপনাকে ঘুম থেকে ওঠার পর আপনার বিছানা অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে। শোওয়ার ঘরের বিছানা আগোছালো থাকা মানে অর্থনৈতিক ক্ষতি বা প্রচুর পরিমাণে ব্যয় এর ইঙ্গিত দেয়।

সূর্যাস্তের পর ঘরে ঝাড় দেওয়া বা মোছা নিষেধ: অনেকেই আছেন যারা সন্ধ্যে হলে সারা ঘরে ঝাঁটা দিয়ে ঝাড় দেন। কিন্তু এই কাজ সম্পূর্ণরূপে বাস্তুশাস্ত্রের বিরোধী। সন্ধ্যের পর ঘর মোছা বা ঘর ঝাড় দেওয়া মোটেই শুভ কাজ নয়। যতটা সম্ভব এই কাজগুলি সূর্যাস্তের আগে করে রাখা উচিত।

ঘরের মধ্যে থাকা বাথরুম সর্বদা পরিষ্কার রাখা: বাথরুম নেগেটিভ শক্তির উৎস হিসেবে পরিচিত। বাথরুমে যত বেশি পরিমাণে নোংরা জমতে থাকবে, তত বেশি পরিমাণে নেগেটিভ শক্তির উৎপন্ন হতে থাকবে। তাই বাথরুম সর্বদা পরিষ্কার রাখতে হবে। দরকার হলে স্নানের পর নিয়মিত বাথরুম পরিষ্কার করতে পারেন।

খাওয়ার পর খাবারের প্লেট পরিষ্কার করা: অনেক বাড়িতে খাওয়া হয়ে গেলে নোংরা থালাবাসন রান্নাঘরে জমতে থাকে। এই অপরিষ্কার এটোঁ বাসন কিন্তু দুর্ভাগ্য টেনে আনে। তাই খাওয়া হয়ে গেলে সেই প্লেটটি অবশ্যই পরিস্কার করে রাখা উচিত। এতে অর্থ সঞ্চয়ের (Money saving tips) রাস্তাও পরিষ্কার থাকবে।