Lord Mahadev: শিব পুরাণ অনুসারে চিনে নিন দেবাদিদেব মহাদেবকে; কবে প্রথম আবির্ভূত হয়েছেন তিনি?

According to Shiva Purana, recognize Devadidev Lord Mahadev: হিন্দুধর্মের মানুষের কাছে মহাশিবরাত্রি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। চলতি বছর এই দিনটি পালন করা হবে আগামী ৮ মার্চ ২০২৪ শুক্রবার। দেবাদিদেব মহাদেবকে মন প্রাণ দিয়ে আরাধনা করতে গেলে সারা বছরের মধ্যে এই দিনটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। মহাশিবরাত্রি পালনের আগে আজ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমেই আমরা জেনে নেব মহাদেবের (Lord Mahadev) সৃষ্টি ও আবির্ভাব সম্পর্কে কী বলা আছে শিব পুরাণে।

হিন্দু সনাতন ধর্ম অনুসারে শিব হলেন আদি দেবতা। তাকে সেই জন্যই বলা হয় দেবাদিদেব। মহামতি বেদব্যাস রচিত শিব মহাপুরাণে মহাদেবের সৃষ্টি এবং তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা আছে। মহাদেবের বিভিন্ন রূপ, তাঁর বিভিন্ন অবতার ও জ্যোতির্লিঙ্গগুলি সম্পর্কে আপনারা জানতে পারবেন শিব পুরাণ থেকে। এই শিব মহাপুরাণ থেকেই আপনি জানতে পারবেন, আসলে কে এই ভগবান শিব (Lord Mahadev)?

বৃহধর্ম পুরাণ অনুরারে হরি ও হরের মধ্যে আলাদা কোন পার্থক্য নেই। এই পুরাণ অনুসারে হরি হলেন বিষ্ণু এবং হর হলেন শিব। যে হরি সেই হলো হর। তবে পার্থক্য আছে শুধুমাত্র বাহ্যিক দিক থেকে। দেবাদিদেব মহাদেব (Lord Mahadev) নানা সময়, নানাভাবে আবির্ভূত হলেও কিন্তু আসলে হরি ও হর হলেন একাত্মা। শিবের মায়ায় সমস্ত জগৎ সৃষ্টি হয়েছে। মহেশ্বর মায়া হল এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সর্বস্ব। মহাদেব হলেন সর্বজ্ঞ এবং তিনি পরমব্রহ্ম। এই প্রকৃতির সবটা নিয়েই বিরাজমান মহাদেব। তিনি হলেন আরাধ্য দেবতা এবং তিনি হলেন রক্ষাকর্তা।

আরো পড়ুনঃ বিরুষ্কার দ্বিতীয় সন্তানের নাম হলো অকায়; কি অর্থ এই অদ্ভুত নামের?

শিব পুরাণ অনুসারে মহাদেব হলেন আত্মত্যাগের প্রতীক। সাধনা তপস্যা যোগ্য সমস্ত কিছু তার থেকে সূত্রপাত। তিনি এই জগত্‍ সংসারের পিতা। তিনি জগত সংসারের পিতা তাই তাকে খুব সহজেই সন্তুষ্ট করা যায়। শিব পুরাণ অনুসারে মহাদেব (Lord Mahadev) হলেন সর্বত্র বিরাজমান, সর্বজ্ঞানী ও সর্বশক্তিমান। শিবপুরাণ বলছে যে মহাদেব আসলে স্বয়ম্ভূ। তার উৎস কেউ জানে না তিনি নিজে থেকেই সৃষ্টি হয়েছেন। বিশ্ব সংসারের সূচনা তাকে দিয়েই এবং যদি কোনদিনও এই পৃথিবী ধ্বংস হয় তাও তার সাথেই ধ্বংস হবে।

আরো পড়ুনঃ কি আছে বিরাট-অনুষ্কার ভাগ্যে? ছেলে মেয়ে সহ গোটা পরিবারের রাশিফল দেখুন এক নজরে

একটি কাহিনী কথিত আছে যা আজকে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো। একবার ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ তাই নিয়ে তর্ক বাঁধে। বিতর্ক এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে তাকে থামানো মুশকিল হয়ে পড়ে। কিভাবে এই বিতর্ক বন্ধ হবে তা কেউ বুঝতে পারে না। তখন দৈববাণী হয় যে ওই স্তম্ভের আদি ও অন্ত যে দেবতা খুঁজে বার করতে পারবেন তিনি হবেন শ্রেষ্ঠ। ব্রহ্মা একটি হাঁস হয়ে আকাশমুখে উড়ে চললেন এবং বিষ্ণু শূকরের রূপ ধরে মাটি খুঁড়ে স্তম্ভের অন্ত খোঁজার চেষ্টা শুরু করলেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর দুই দেবতা হাল ছেড়ে দেয় কারণ তারা কেউ এই স্তম্ভের আদি এবং অন্ত কোনটাই খুঁজে পায় না। তখন সেখানে আবির্ভূত হন মহাদেব। শিবকে প্রত্যক্ষ করে ব্রহ্মা ও বিষ্ণু তাঁর আসল পরিচয় বুঝতে পারেন।