Holika Dahan Ashes: জানেন হোলিকা দহনের ছাই আদতে শুভ না অশুভ? কিভাবে ব্যবহার করা হয় এই ভস্ম?

The ashes of Holika Dahan are actually auspicious or inauspicious: দোল পূর্ণিমার আগের দিন হোলিকা দহনের মধ্য দিয়ে অশুভ শক্তির বিনাশ করা হয় এবং শুভ শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। ২৪শে মার্চ হোলিকা দহন সমস্ত জায়গায় পালিত হবে। হোলিকা দহনের শুভ সময় হল রাত ১১টা ১৩ মিনিট থেকে ১২টা ২৭ মিনিটের মধ্যে। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে এই বিশেষ দিনে হিরণ্যকশ্যপের দুষ্টু বোন পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং শুদ্ধ ও সৎ হৃদয়ের প্রহ্লাদ জীবিত ফিরে আসে। হোলিকা দহনের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের ভেতরকার অসৎ, অশুভ সমস্ত রকম কিছুকে পুড়ে ছাই করে দেওয়া। কিন্তু এই ছাই (Holika Dahan Ashes) আদৌ কি কোন শুভ কাজে ব্যবহৃত হয়?

হোলিকা দহনের (Holika Dahan Ashes) পরের দিন সকাল বেলা সেখান অনেকেই সেই ছাই নিয়ে আসে। আবার অনেকে সেই ভস্ম উড়িয়ে ধুলখেল বা ধুলেটি পালন করেন। হোলিকা দহনের আগুনে ব্যক্তি তার সমস্ত অসত্য, অধর্ম পুড়িয়ে ছাই করে দেয়, সেটি শুভ না অশুভ এ নিয়ে প্রশ্ন সবার মনেই রয়েছে। কেন এই ছাই কিংবা ভস্মকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় সেটা অনেকেরই হয়তো জানা নেই।

শাস্ত্র কি বলছে সেই বিষয়ে আমাদের অবশ্যই বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া দরকার। হোলিকা দহনের ছাই বা ভস্মকে (Holika Dahan Ashes) পবিত্র মনে করা হয়। এই ছাই ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত সংবেদনশীল। হিন্দু ধর্মের মানুষের বিশ্বাস এতে ভগবানের আশীর্বাদ বিরাজ করে। এই ভস্ম মাথায় লাগে সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়, পাশাপাশি বুদ্ধি তীক্ষ্ণ হয়।

আরো পড়ুনঃ চৈত্র নবরাত্রির সূচনা কবে এবং কোন বাহনে আগমন দেবীর? জানুন আরাধনার সম্পূর্ণ নির্ঘণ্ট

হোলিকা দহনের ছাই অনেকেই আবার সারা শরীর লাগায় এর অর্থ অনেকের কাছেই অজানা। বিশ্বাস করা হয় যে, এই ছাই শরীরের ভিতরে উপস্থিত দূষিত পদার্থকে নষ্ট করে দিতে সাহায্য করে। হোলিকা দহনের ছাই (Holika Dahan Ashes) বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সারা বাড়িতে অনেকেই ছিটিয়ে দেয়। নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে জীবনে এবং সারা বাড়িতে আসবে ইতিবাচক শক্তি। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, অশুভ আত্মা ও তন্ত্রমন্ত্রের প্রভাব যাতে না-খাটে তার জন্য অনেকে হোলিকা দহনের ছাই মাদুলিতে ভরে ধারণ করেন।

আরো পড়ুনঃ হোলিকা দহনের পরই পালিত হয় দোল উৎসব! কেন এমন নিয়ম? জানুন হোলিকা দহনের পুরকথা

এবার শাস্ত্র অনুযায়ী হোলিকা দহনের ভস্ম লাগানোর সময়ে কি মন্ত্র জপ করা উচিত তা জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে।
বন্দিতাসি সুরেন্দ্রেণ ব্রহ্মণা শঙ্করেণ চ।
অতস্তবং পাহি মাং দেবী! ভূতি ভূতিপ্রদা ভব।।
অর্থাৎ হে দেবী, (ভস্ম)! তোমার ইন্দ্র, ব্রহ্মা, শঙ্কর দ্বারা বন্দনা করা হয়। তাই আপনি আমাদের জন্য ঐশ্বর্য প্রদানকারী ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকারী হয়ে উঠুন। মন্ত্রটি জপ করার পর বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ ও অনামিকার চুটকিতে ছাই তুলে অনামিকা দিয়ে সেটি নিজের মাথায় লাগান। আমাদের দেশে এমন বহু স্থান আছে যেখানে হোলিকা দহনের দিনে চৌষঠ যোগিনীর পুজো করা হয়।