Geeta Bani: গীতায় উল্লেখিত শ্রীকৃষ্ণের বাণী হলো জীবনের আসল সারমর্ম; বিস্তারিত জানুন এই প্রতিবেদনে

The Bani of Lord Krishna mentioned in the Geeta are the real essence of life: হিন্দুদের কাছে গীতা হল একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে একবার অন্তত গীতা পাঠ করা প্রয়োজন। জীবনের নানাবিধ সমস্যার সমাধান রয়েছে এই গীতাতে। আপনি যদি গীতার উপদেশ (Geeta Bani) মেনে চলেন জীবনে ভুল এবং ঠিক এর মধ্যে পার্থক্য করতে পারবেন। গীতা পাঠ করলে এবং গীতার উপদেশ মেনে চললে সফলতা অবশ্যই আসবে। গীতা আসলে কি? কি আছে এর মধ্যে তা জানতে সবাই কৌতুহলী।

মহাভারতে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পূর্বে যখন অর্জুন তার আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলতে অস্বীকার করেছিল তখন শ্রীকৃষ্ণ তাকে যে উপদেশ দিয়েছিলেন তাই উল্লেখিত আছে গীতাতে (Geeta Bani)। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাকে জীবনের শিক্ষা দান করেছিলেন যা গীতাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। গীতাতে আছে মোট ১৮ টি অধ্যায় এবং ৭০০টি শ্লোক। ধর্মের পথে থেকে জীবনে কিভাবে সাফল্য অর্জন করা যায় গীতা সেটাই নির্দেশ করে। মানুষ বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাপারটি উপলব্ধি করতে পারে।

গীতাতে (Geeta Bani) উল্লেখ করা আছে যে আমাদের সর্বদাই নিজের মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। অতিরিক্ত আনন্দে গলে গেলে হবে না, কিংবা দুঃখে ভেঙে পড়লেও হবে না। মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পারলে কখনোই কর্ম সঠিকভাবে করা যায় না। সাফল্য এবং ব্যর্থতা তুই জীবনে আসবে কিন্তু সর্বদা নিজের কাজের ফোকাস করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ কার কাল ভালো যাবে দিন, কে পড়বেন ফাঁদে জেনে নিন আজকের দৈনিক রাশিফল

গীতার বাণীতে (Geeta Bani) উল্লেখ করা আছে, মানুষ তার শেষ বয়সে এসে বুঝতে পারে সারা জীবন সে এমন মানুষকে গুরুত্ব দিয়েছে যে তার আসল মূল্য কখনোই দেয় নি। সেই মানুষের অবদান আপনার জীবনে কোনোভাবেই নেই।

আরো পড়ুনঃ শনির স্থান পরিবর্তনে ভাগ্য বদলাবে এই চার রাশির; কেমন হবে তার প্রভাব?

গীতার বাণী (Geeta Bani) যদি আপনি অনুসরণ করেন তাহলে বুঝতে পারবেন জীবনে আত্মপর্যালোচনা কতটা জরুরী। আত্ম পর্যালোচনা করলে তবে আপনি নিজের ভুলও ঠিক গুলো বুঝতে পারবেন। জীবনের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আত্মপর্যালোচনা অত্যন্ত জরুরী।

শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন যে মানুষকে তার রাগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। অতিরিক্ত রাগের বশে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অতিরিক্ত রাগের মাথায় কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত না তা আপনার জীবনের পক্ষে সুখকর হয় না।