Noboborsho: বাংলার নববর্ষ পালিত হচ্ছে গোটা দেশে; আনন্দে মেতে আছে সমস্ত দেশবাসী

Bengali New Year is celebrated all over the country: বছরের প্রথম দিনটিকে যদি আনন্দের সঙ্গে আহ্বান জানানো হয় তাহলে আশা করা যায় গোটা বছরটি খুব ভালো কাটবে। বাংলার নববর্ষ এর (Noboborsho) পঞ্জিকা অনুসারে বৈশাখ মাসটিকে ধরে নেওয়া হয় বছরের প্রথম মাস। যদিও দেশের বিভিন্ন জায়গায় এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত তবুও গোটা দেশ এই বিশেষ দিনে মেতে থাকে আনন্দে। এক একটি জায়গায় একেক রকম নিয়ম রীতি পালন করে এই দিনটিকে উদযাপন করা হয়।

ভারতীয়রা বরাবর উৎসবকে ভালোবাসেন, তাই যেকোনো উৎসবে তারা প্রাণ খুলে আনন্দ করতে চান। বাংলার নববর্ষ (Noboborsho) যেমন বাঙ্গালীদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন তেমনি দেশের অন্যান্য জায়গাও এটি সমান গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অন্য নামে। তাই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এই বিশেষ দিনটিকে খুব গুরুত্ব দিয়ে পালন করা হয়ে থাকে।

কোন জায়গায় কি নামে পরিচিত এই বিশেষ দিনটি আসুন জেনে নিই আজকের প্রতিবেদনে। উত্তর ও মধ্য ভারতে নতুন বছর বৈশাখী, আসামে রঙ্গালি বিহু, তামিলনাড়ুতে তামিল পুঠান্ডু, কেরালায় বিশু, ওড়িশায় বিশুব সংক্রান্তি এবং পশ্চিমবাংলায় পয়লা বৈশাখ (Noboborsho) নামে এই দিনটি পরিচিত। বাঙালি ব্যবসায়ীরা এই দিন লক্ষ্মী গনেশ পুজোর মাধ্যমে এই দিনটিকে উদযাপন করেন। সাথে থাকে মিষ্টিমুখ, নতুন জামা কাপড় পড়া এবং পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানো। সাধারণত এপ্রিল মাসের ১৪ কিংবা ১৫ তারিখে পয়লা বৈশাখ হয়ে থাকে। এই বছর ১৪ই এপ্রিল অর্থাৎ রবিবার পড়েছে পয়লা বৈশাখ।

পয়লা বৈশাখ/ নববর্ষ

বাঙালি ব্যবসায়ীদের এই বিশেষ দিনটিতে নতুন আর্থিক বছরের সূচনা ঘটে। লক্ষী গণেশ পুজোর মাধ্যমে নতুন বছরের সূচনা ঘটে এবং এই বিশেষ দিনে মিষ্টি মুখ করা বাঞ্ছনীয়। খাওয়া দাওয়া, আড্ডা প্রভৃতির মাধ্যমে দিনটিকে সুন্দরভাবে পালন করা হয়। এই দিনে নতুন জামা কাপড় পরে প্রত্যেকটি বাঙালি। নববর্ষের (Noboborsho) দিনে ছোটদের ভালোবাসা এবং বড়দের প্রণাম জানানো হয়।

নবান্ন উৎসব

ভারতের বিভিন্ন জায়গায় নবান্ন উৎসব খুব ধুমধাম করে পালন করা হয়। এই সময় নতুন ফসল ওঠে তাই পুজোর আয়োজন করা হয়। যাতে বছরের প্রত্যেকটি দিন ভালোভাবে চাষাবাদ করা যায় সেই আশায়।

পুঠান্ডু

নববর্ষের (Noboborsho) সময়ে তামিলনাড়ুতে পুঠান্ডু উৎসব পালন করা হয়। এই বিশেষ দিনে প্রত্যেকের বাড়ি- ঘর পরিষ্কার করা হয় এবং ফল, ফুল,রঙ্গোলী ও আলো দিয়ে সাজানো হয়। বাড়িতে পুজোর আয়োজন করা হয়, এমনকি স্থানীয় মন্দিরগুলোতেও পুজোর ব্যবস্থা করা হয়। এই দিনে নতুন জামা কাপড় পরে একে অপরকে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়।

রঙ্গালি বিহু

আসাম, মণিপুর এবং বাংলার বিভিন্ন অংশে এই উৎসব পালন করা হয়। অসমীয়ারা বছরে তিনবার বিহু উৎসব পালন করে। এই দিন প্রত্যেকটি বাড়িতে পিঠা, মাংস এবং চিড়া তৈরি করা হয়। নতুন জামা কাপড় পরে প্রবীণদের কাছ থেকে আশীর্বাদ নেওয়া হয়। উপহার বিনিময়ের প্রচলন রয়েছে এই বিশেষ দিনে। বিহু নাচে মেটে ওঠে গোটা আসাম।

আরো পড়ুনঃ নববর্ষে ভাগ্যের চাকা খুলবে এই তিনরাশির; তালিকায় আপনি আছেন তো?

বিশু

বছরের এই বিশেষ সময় বা কেরল এবং কর্নাটকের কিছু অংশেই এই উৎসব পালন করা হয়। প্রত্যেকের বাড়িতে এই বিশেষ দিনে আতশবাজি এবং আলোর রোশনাই দেখতে পাওয়া যায়। বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নতুন জামা কাপড় পরে খাওয়া-দাওয়া এবং আড্ডায় মেতে থাকে সকলে। পাশাপাশি ভগবান বিষ্ণুর সামনে ফল, শাকসবজি, চাল, ডাল ইত্যাদি রেখে পুজো করার নিয়মও চালু আছে দক্ষিণ ভারতে।

বৈশাখী

উত্তর মধ্য ভারতের নববর্ষের (Noboborsho) এই দিনটিতে পালন করা হয় বৈশাখী উৎসব। ১৬৯৯ সালে নববর্ষের দিনে দশম শিখ ধর্মগুরু, গুরু গোবিন্দ সিং শিখ ধর্ম অনুসরণ করার কথা বলেছিলেন এবং খালসা সম্প্রদায় গঠিত হয়েছিল। ভারতের পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার উত্তর দিক এর দিল্লির কিছু অংশে এই দিনটি খুব ধুমধাম করে পালন করা হয়। সকলে একত্রিত হয়ে এই বিশেষ দিনে নাচ গান করেন, ফসল ফলনের জন্য আনন্দ করেন এবং ভবিষ্যতের সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করেন।