Lakshmi Mata: আপনার কি চরম অর্থসংকট? আজই জপ করুন লক্ষ্মীর ১৮ পুত্রের নাম

Chant the name of 18 sons of Lakshmi Mata to overcome financial crisis: হিন্দুশাস্ত্র মতে, মা লক্ষ্মী (Lakshmi Mata) হলেন ধনসম্পত্তির দেবী। যে বাড়িতে মা লক্ষ্মী বিরাজ করেন সেখানে সর্বদা ধন-সম্পত্তি এবং সৌভাগ্য বজায় থাকে। মা লক্ষ্মীর কৃপা ছাড়া এ জগতে সমস্ত কিছুই যেন ছারখার হয়ে যায়। লক্ষ্মী দেবী স্থায়ী হলে সেই ব্যক্তির জীবন সুখ সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে এবং ধন-সম্পত্তি হয়ে যায় দ্বিগুণ। যদি কেউ কখনো অর্থকষ্টে ভোগেন মা লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করার সম্পূর্ণ চেষ্টা করবেন। মা লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করার নানাবিধ উপায় আছে আজকের প্রতিবেদনে এটাই হল আলোচ্য বিষয়।

মা লক্ষ্মীর (Lakshmi Mata) আঠারো পুত্রের নাম জপ করলে আপনি সহজেই অর্ধকষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন এবং আকস্মিক ধন লাভ ঘটবে আপনার জীবনে। কোন মন্ত্র জপ করলে আপনার জীবনে সৌভাগ্য নেমে আসবে জেনে নিন এই প্রতিবেদনে। আকস্মিক লোকসান হলে, চাকরি হারালে বা অসুস্থতার কারণে অর্থাভাব দেখা দিলে শুক্রবার থেকে লক্ষ্মীর ১৮ পুত্রের নাম জপ করুন। মা লক্ষ্মীর চার পুত্রের নাম আমরা খুঁজে পাই ঋগ্বেদের একটি শ্লোকের মাধ্যমে। এই শ্লোকটি হল— “আনন্দঃ কর্দমঃ শ্রীদশ্চিকলীত ইতি বিশ্রুতা।
ঋষয়ঃ শ্রিয়ঃ পুত্রাশ্চ ময়ি শ্রীর্দেবী দেবতা।।”

যদি আপনি আকস্মিক ধন লাভ করতে চান লক্ষ্মীর ১৮ বর্গ পুত্রের নাম জপ করতে হবে। স্বয়ং মা লক্ষ্মী (Lakshmi Mata) আপনার গৃহে প্রবেশ করবেন। জপ করার মন্ত্রটি হল – ওম দেবসখায় নমঃ
ওম চিক্লীতায় নমঃ
ওম আনন্দায় নমঃ
ওম কর্দমায় নমঃ
ওম শ্রীপ্রদায় নমঃ
ওম জাতবেদায় নমঃ
ওম অনুরাগায় নমঃ
ওম সম্বাদায় নমঃ
ওম বিজয়ায় নমঃ
ওম বল্লভায় নমঃ
ওম মদায় নমঃ
ওম হর্ষায় নমঃ
ওম বলায় নমঃ
ওম তেজসে নমঃ
ওম দমকায় নমঃ
ওম সলিলায় নমঃ
ওম গুগ্গুলায় নমঃ
ওম কুরূণ্টকায় নমঃ

মা লক্ষ্মীর (Lakshmi Mata) কিন্তু এই ১৮ পুত্র ছাড়াও আর এক পুত্র রয়েছে যার উল্লেখ করা হয়েছে নিম্নে। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, তিনিই লক্ষ্মী ও বিষ্ণুর একমাত্র পুত্র সন্তান। ভাগবত পুরাণের ষষ্ঠ স্কন্ধে একটি পৌরাণীর কাহিনী প্রচলিত আছে সেখানেই উল্লেখ আছে লক্ষ্মী ও বিষ্ণুর পুত্র সন্তান সম্পর্কে। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী কোনো একসময় বিষ্ণু লক্ষ্মীকে ঘোটকী হওয়ার অভিশাপ দেন। এহেন আচরণে মা লক্ষ্মী কষ্ট পেলেও বুঝতে পারেন শ্রীবিষ্ণুর নিশ্চয়ই কোন উদ্দেশ্য রয়েছে। ঘোটকী রূপী লক্ষ্মী যমুনা ও তমসা নদীর ধারে এক বনে বাস করতে শুরু করেন। মা লক্ষ্মী ঠিক এই সময় শিব ও বিষ্ণুকে সমান ভেবে নিজের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে শিবকে তুষ্ট করতে আরাধনা শুরু করেন। লক্ষ্মীর তপস্যায় খুশি হয়ে শিব প্রকট হন এবং তাঁকে বর চাইতে বলেন। সেইসময় লক্ষ্মী শিবকে বলেন তাঁর কোনও সন্তান হলে ঘোটকী রূপ থেকে তার মুক্তি ঘটবে। তাই বিষ্ণুর সঙ্গ এই মুহূর্তে আবশ্যক। শিবের কাছে বিষ্ণুকে এ সব কথা বোঝানোর অনুরোধ করেন লক্ষ্মী। তারপর শিব লক্ষ্মীকে পুত্র লাভের আশীর্বাদ প্রদান করেন এবং এক দূতকে বিষ্ণুর কাছে পাঠিয়ে লক্ষ্মীকে শাপমুক্ত করতে বলেন। শিবের ইচ্ছাকে সম্মান জানানোর জন্য অশ্বরূপে প্রকট হন বিষ্ণু। লক্ষ্মীর সঙ্গে মিলনে তাঁদের এক পুত্র সন্তান হয় তার নাম হয় একবীর। তারপর শাপমুক্ত হয়ে লক্ষ্মী বাস্তব রূপে ফিরে আসেন।

যখন লক্ষ্মী নিজের স্বরূপে ফিরে আসেন ভগবান বিষ্ণুকে নিজের অভিশাপের পিছনে আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানান। বিষ্ণু বলেন যে, রাজা যযাতির বংশধর হরিবর্মা বিষ্ণুর সমান পুত্র লাভের আকাঙ্খা পূরণ করার জন্য তপস্যা করেছিলেন। তার ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যেই এই লীলা করেন তিনি। এর পর নিজের পুত্র সন্তানকে বনে ছেড়ে তাঁরা চলে যান। সেখান থেকে রাজা হরিবর্মা একবীরকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যান। পরবর্তীকালে বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর এই পুত্র থেকেই হৈহেয় বংশের উৎপত্তি।