Last full moon of Year: বছরের শেষ পূর্ণিমায় করুন এই বিশেষ কাজ, পূরণ হবে মনস্কামনা, রইল পূর্ণিমার দিনক্ষণ

Doing this special task on the last full moon of the year all wishes will be fulfilled: হিন্দু ধর্ম অনুসারে প্রতি মাসেই একটি করে পূর্ণিমা পালিত হয়। যার মধ্যে অন্যতম হলো মার্গশীর্ষ পূর্ণিমা। বাংলা সনের অষ্টম এবং শকাব্দের নবম মাসকে বলা হয় মার মার্গশীর্ষ মাস। কথিত রয়েছে এই মাসেই সত্য যুগের সূচনা হয়েছিল। ভগবান কৃষ্ণের কাছে এই মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। পাশাপাশি এই মার্গশীর্ষ মাসের পূর্ণিমারও বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এই পূর্ণিমায় দান-ধ্যান করা, ব্রত করা অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়। সেই অনুযায়ী কবে পড়ছে মাগী পূর্ণিমা (Last full moon)? পূর্ণিমা পালনের শুভ সময় কখন কি কি কর্ম করলে শুভ ফল পাওয়া যায়? সমস্ত বিবরণ নিম্নে আলোচনা করা হইল।

ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছরের শেষ পূর্ণিমা হল এই মার্গশীর্ষ পূর্ণিমা। এই সময় শ্রীকৃষ্ণের পূজা পাঠ করা, পাশাপাশি লক্ষ্মী-নারায়ণের পূজা করা, ব্রত পাঠ, উপবাস করা অত্যন্ত শুভ। পাশাপাশি গরিব দুঃখীদের দান করলেও তার ৩২ গুণ বেশি ফলপ্রাপ্তি ঘটে। বাত্তিসি পূর্ণিমা (Last full moon) নামেও পরিচিত এই পূর্ণিমা। এ মাগী পূর্ণিমায় ভগবান বিষ্ণুর পূজা করলে বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়। তবে সেইসব পূজা পাঠেরও নিয়ম-কানুন রয়েছে। আসুন সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

মাগী পূর্ণিমার সময়সূচী

তিথি অনুযায়ী মাগী পূর্ণিমা ২৬শে ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার সকাল ৫:১৩ মিনিট থেকে ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৩, বুধবার সকাল ৫:১৮ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। নিয়ম অনুযায়ী এই পূর্ণিমা পালনের দিন হল ২৬শে ডিসেম্বর, মঙ্গলবার। কি কি করণীয়?

প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী মার্গশীর্ষ পূর্ণিমার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এই দিন সত্যনারায়ণের পূজা, উপবাস, ব্রত পাঠ করলে জীবনে ইতিবাচক প্রভাব প্রভাবিত হয়। অভাবীদের এবং ব্রাহ্মণদের অন্ন দান, বস্ত্র দান করলে ভগবান বিষ্ণু প্রসন্ন হন। ব্যক্তির সকল মনস্কামনা পূরণ করেন। বহু পুণ্যার্থী পুণ্য লাভ করতে এদিন পবিত্র নদীতে স্নান করেন। ফলস্বরূপ, এই মাগী পূর্ণিমা উপলক্ষে হরিদ্বার, বেনারস, মথুরা প্রয়াগরাজ প্রভৃতি তীর্থস্থানগুলিতে পুন্যার্থীদের ভিড় জমে। অনেকে এই সময় এই স্থানে তপস্যা, স্নান করতে আসেন পূণ্য অর্জনের জন্য।

এছাড়াও মাগী পূর্ণিমায় (Last full moon) ভগবান বিষ্ণু তথা সত্যনারায়ণের পূজা পাঠে সুখ-সমৃদ্ধির লাভ হয়। তবে সেই পূজা পাঠের বিশেষ নিয়ম কানুন রয়েছে। এদিন ভগবান বিষ্ণুর আরাধনার জন্য সকাল সকাল স্নান সেরে শ্বেত বস্ত্র পরিধান করে ধ্যান করুন। উপবাস রাখার সংকল্প করুন। নারায়ণ মন্ত্র জপ করুন। পুজোর স্থানে একটি বেদীতে যজ্ঞের আয়োজন করুন। পূজা পাঠ শেষে ব্রাহ্মণ বা গরীব-দুঃখীদের খাইয়ে, ভিক্ষা দিয়ে বিদায় দিয়ে উপবাস ভঙ্গ করুন। এদিন ভগবান বিষ্ণুর মূর্তির কাছে শয়ন করতে হবে। নারায়ণ তুষ্ট হয়ে ব্যক্তির উপর সদয় হবেন। পূণ্য লাভ করবেন সেই ব্যক্তি।

Vastu Tips: পকেটে এই মশলা রাখলেই ঘুচবে অর্থাভাব! দারিদ্র্য পালাবে কয়েক দিনেই Krisha break his flute How to Worship : এই ভুলগুলি করলে পুজোর ফল পাবেন না! হনুমানজির এই ১২ নামে সকল কষ্টনাশ স্বপ্নে নগ্ন হচ্ছেন! জানেন কি হবে?