Lakshmi Puja Rituals: বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন এভাবে পাতুন লক্ষীর ঘট; ফুলে ফেঁপে উঠবে আপনার সংসার

Follow these Rituals on Buddha Purnima for Lakshmi Puja: মা লক্ষ্মী হলেন খুবই চঞ্চলা এবং অস্থির তাই তাকে ঘরে বেঁধে রাখার জন্য নিষ্ঠাভরে পূজা করার প্রয়োজন। প্রত্যেক বৃহস্পতিবার গৃহস্থের ঘরে মা লক্ষ্মীকে ঘট পেতে আরাধনা করা হয়। সাধারণত ধনসম্পত্তি বৃদ্ধি এবং পরিবারের মঙ্গল কামনার জন্যই মা লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয় প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী বুদ্ধ পূর্ণিমা, যা দিনটির মাহাত্ম্য বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকাংশে। কিভাবে পুজো করলে বর্ষিত হবে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ ( Lakshmi Puja Rituals)?

প্রত্যেক বৃহস্পতিবার পাঁচালী পড়ে ঘট স্থাপন করে তবে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়।। যদি কোন বৃহস্পতিবার হয় পূর্ণিমা তাহলে সেই দিন আড়ম্বরের সঙ্গে ভগবানের আরাধনা করতে হয়। পূর্ণিমা তিথিতে কিভাবে আরাধনা করলে মা লক্ষ্মী চিরস্থায়ী (Lakshmi Puja Rituals) হবেন আপনার ঘরে আজকের প্রতিবেদনে সেটাই হলো আলোচ্য বিষয়। তাই আপনাকেও মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে এই প্রতিবেদনটি এবং আপনি ফল পাবেন হাতেনাতে।

প্রথমে আপনার ঠাকুর ঘর ভালো করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে এবং তাতে আঁকতে হবে আলপনা। ভগবানের উদ্দেশ্যে প্রজ্জ্বলিত করুন ঘি কিংবা তিল তেলের প্রদীপ। আপনি যে প্রদীপ টি মা লক্ষ্মীকে নিবেদন করবেন তার মুখ সর্বদা পূর্ব দিকে রাখবেন। বৃহস্পতিবার প্রত্যেকটি হিন্দু ঘরেই ঘট স্থাপন করা হয় এবং তার ওপর যদি পূর্ণিমা তিথি পড়ে তাহলে তো কথাই নেই। অবশ্যই মা লক্ষ্মীকে ঘর স্থাপন করে আরাধনা করবেন (Lakshmi Puja Rituals)।

আরো পড়ুনঃ মা লক্ষীর কৃপায় বুদ্ধপূর্ণিমায় ভাগ্য খুলবে এই পাঁচরাশির; জানুন বিস্তারিত

ঘটে তেল এবং সিঁদুর দিয়ে মাঙ্গলিক চিহ্ন আঁকতে হবে। তারপর বিজোড় সংখ্যার আম্রপল্লব ঘটে দিয়ে তাতেও দিতে হবে সিঁদুরের ফোটা। জলপূর্ণ ঘট স্থাপন করার সময় অবশ্যই তাতে কলা কিংবা হরতকি অথবা যেকোনো একটি ফল দিতে হয়। অবশ্যই ঘটে বেলপাতা এবং দূর্বা দেবেন। ঘর স্থাপন করার সময় উলুধ্বনি অবশ্যই দিতে হয় এতে মা লক্ষ্মী (Lakshmi Puja Rituals) প্রসন্ন হয়।

ঘটের উপর অবশ্যই রাখতে হবে লাল চেলি, চাঁদমালা এবং পৈতে। মঙ্গলঘট স্থাপনের সময় অন্যান্য উপকরণের মতো অবশ্যই আপনাকে নিবেদন করতে হবে পান, সুপারি, হরতকি, আবির এবং কাঁচা টাকা। এইসব নিয়ম মেনে অবশ্যই মঙ্গলখোর স্থাপন করে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করবেন। পুজোর শেষে পাঁচালী পাঠ করবেন, অষ্টোত্তর শতনাম এবং ব্রতকথা অবশ্যই পাঠ করতে হবে।