How Pray To God : নিজের প্রার্থনা জানানোর সঠিক নিয়ম জানা আছে? না জানলে প্রার্থনা করে লাভ নেই

How Pray To God : আমরা আমাদের ইষ্ট দেবের পুজো করি। আমরা তার কাছে নিজেদের প্রার্থনা জানায়। কি চেয়ে ভগবানের শরণাপন্ন হয়েছে, তা ভগবানকে মনে মনে জানিয়ে দি। তাকে বলি, আমাদের এই মুহূর্তে কি প্রয়োজন। আবার নিত্যদিন পুজোর পরেও যখন ভগবানের সামনে মাথা নিচু করি, তখনও আমরা একই রকমের প্রার্থনা জানায়। কিন্তু এই প্রার্থনা জানাতে গিয়েই আমরা ভুল করে বসি। তাই ভগবানের সামনে বসে প্রার্থনার ফল আমরা পাই না। নিজের অজান্তে আমরা ভুল করি। তাহলে প্রার্থনা করার সঠিক নিয়ম কি? আসুন আজকে আপনাদের বলব।

আমরা সাধারণত পুজোর পর যখন ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, তখন নিজেদের মনস্কামনা জানায়। তবে নিজেদের মনষ্কামনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আত্মকেন্দ্রিক হয় না। আমাদের প্রার্থনার সঙ্গে জুড়ে থাকেন আমাদের আশপাশে থাকা মানুষগুলো। বাবা – মা, স্ত্রী, ভাই – বোন অথবা ভালোবাসার মানুষগুলো। আমরা তাদের সুস্থতা কামনা করি। তাদের সুখে থাকার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা জানায়। তাদের মঙ্গল কামনা করি। কিন্তু এখানেই ভুল করি আমরা।

শাস্ত্র বলছে, যখন আমরা আমাদের অন্য কারোর জন্য প্রার্থনা করি, তখন তাদের কর্মফলের ভাগীদার আমরা নিজেও হয়ে যায়। তার অদৃশ্য ভবিষ্যতে যা লেখা আছে, তার সঙ্গে জুড়ে যায় আমাদের প্রার্থনা। ফলে আমরা যখন কারোর হয়ে প্রার্থনা করি, সেই একার প্রার্থনা ওতোগুলি মানুষের কর্মফল বা তাদের প্রার্থনা সমান হয় না। তাই মনোবাঞ্ছা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পূর্ণ হয় না।

তাহলে কি অন্যের হয়ে প্রার্থনা করব না? নিজের আশপাশে থাকা ভালবাসার মানুষগুলির সুস্থতা, মঙ্গল কামনা করব না? না তেমনটা নয়। তাদের ভাল থাকা, সুস্থ থাকা অবশ্যই আমরা চাইবো। কিন্তু সেই চাওয়াটা থাকবে আমাদের মনে। আমাদের মনষ্কামনায়। ভগবানের কাছে শুধু প্রার্থনা করব, আমার মনস্কামনা পূরণ কর। নিজের প্রার্থনার ফল হিসেবে নিজের মনস্কামনা পূরণের ইচ্ছা ভগবানের সামনে আমরা রাখতে পারি। আর নিজের মনষ্কামনায় যার যার সুস্থতা, মঙ্গল কামনা আছে, তারা তার সুফল ভোগ করতে পারবেন। অথচ আমার কর্মফল আর আমার প্রার্থনার পূরণের আবেদনই রাখবো ভগবানের কাছে। শাস্ত্র বলছে এটাই ইষ্ট দেবের কাছে প্রার্থনার আসল নিয়ম।