How to overcome obstacles: জন্মছকে বিপদ সংকেত? ভয় না পেয়ে আজই করুন এই সব প্রতিকার

How to overcome obstacles in Janma Kundali: একটি শিশু জন্মের সময়কালে গ্রহ, নক্ষত্রর অবস্থানের উপর ভিত্তি করে পঞ্জিকা অনুযায়ী তার জন্মছক নির্ণয় করা হয়। অনেক সময় দেখা যায় জন্মের সময়কালে গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থানের তারতম্যের কারণে সেই জাতকের জীবনে কোনো কু – প্রভাব বর্ষিত হয়। এবং জন্ম ছকে থাকা কোনো দোষত্রুটির প্রভাব সেই জাতক জাতিকাদের সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয়। জন্মছকে কোনো দোষ থাকলে তা নানা ধরনের বিপদ এমনকি মৃত্যুর সংকেত বহন করে। হলে জন্ম কুণ্ডলি তে থাকা দোষ নিয়ে চিন্তিত এবং ভীত থাকেন সেই জাতক জাতিকারা (How to overcome obstacles)।

ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী জন্মছকে কেতুগ্রহের দশা-অন্তর্দশা দেখে তাকে ফাঁড়া বলে চিহ্নিত করা হয়। মঙ্গল এবং কেতুর অবস্থান দেখে দুর্ঘটনায় মৃত্যু আছে কি না তাও বলা সম্ভব। তবে কোনো জাতক জাতিকার জীবনে থাকা যে কোনো ফাঁড়াই তার জীবনকে সব দিক থেকে তছনছ করে দিতে পারে। এই ফাঁড়া অনেক রকম ভাবে হতে পারে। যেমন- দুর্ঘটনার ফলে বিপদের সম্মুখীন হওয়া, কারোর ষড়যন্ত্রের শিকারে ফাঁড়া, হঠাৎ বড় কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফাঁড়া, তীর্থে গিয়ে ফাঁড়া ইত্যাদি নানান রকম দিক থেকে নানা ভাবে এই ফাঁড়া আসতে পারে (How to overcome obstacles)।

তবে এই সব ফাঁড়া গুলিকে কাটাতে শাস্ত্রজ্ঞ জ্যোতিষীরা বেশ কয়েকটি নিয়ম নীতি পালন করে চলতে বলেন (How to overcome obstacles)। কারণ এগুলো পালন করলে ফাঁড়ার প্রকোপ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। দেখে নিন সেগুলি কি কি –

১) ভারতীয় প্রাচীন শাস্ত্র অনুযায়ী যে সব জাতক জাতিকাদের জীবনে নানা ফাঁড়া আছে তাদের মহামৃত্যুঞ্জয় কবচ ধারণ করা উচিত।

২) প্রত্যেক মঙ্গল ও শনিবার হনুমানজীকে লাড্ডু ও মেটে রঙের সিঁদুর অর্পণ করে নিজের দীর্ঘায়ু কামনা করতে হবে।

৩) ভাগ্যচক্রতে কেতু, মঙ্গল ও রাহু যদি খারাপ স্থানে বিরাজ করলে যত দ্রুত সম্ভব তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে হবে (How to overcome obstacles)।

৪) বাড়িতে বাস্তু দোষ থাকলে দ্রুত তার প্রতিকার করতে হবে।

৫) বাড়িতে অশুভ শক্তি আটকাতে বাড়ির প্রবেশ দ্বারের ওপর হনুমানজীর মূর্তি স্থাপন করলে শুভ ফল মিলবে।

৬) সন্তানের ফাঁড়া থাকলে মা বাবা, এবং স্বামীর ফাঁড়া থাকলে স্ত্রী ভক্তিপূর্ণ ভাবে এবং সমস্ত বিধি মেনে শিবের পূজা করতে হবে।

৭) স্নানের সময় নাভিতে ও বুড়ো আঙুলের নখে সর্ষের তেল লাগালে অকাল মৃত্যুর সম্ভবনা দূর হয়।

জন্ম সময়ের উপর নির্ভর করে যদি জন্ম ছকে কোনো কুপ্রভাব থেকেও থাকে, তবে তাকে ভয় না পেয়ে উপরিউক্ত নিয়মগুলি নিষ্ঠা ভাবে পালন করে চলুন। শাস্ত্র অনুযায়ী বলা হয় এগুলি মন থেকে মেনে চললেই কোনো বিপদ আপনাকে স্পর্শ করতে পারবে না।