Hanuman chalisa reading benefits: শুধু পাঠ করলেই হবে না, জানতে হবে হনুমান চালিসা পাঠের সঠিক নিয়ম

It is important to know the benefits of Hanuman chalisa reading: কলিযুগের দেবতা তিনি। সাহসের প্রতীক। তাঁর প্রিয় রং লাল। শ্রীরামচন্দ্রের পরম ভক্ত ইনি। বুঝতে পারছেন কার কথা বলা হচ্ছে? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। হিন্দু ধর্মের অন্যতম দেবতা বজরংবালীর কথাই বলা হচ্ছে। যার কাহিনী সম্পর্কে সকলেই জ্ঞাত। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী মনে করা হয়, তুলসীদাস বজরংবলীর আশীর্বাদে দর্শন পেয়েছিলেন রামের। অর্থাৎ রামের স্থান যেখানে সেখানেই রয়েছেন বজরংবলী। ফলে হনুমানজিকে প্রসন্ন করতে অনেকেই পাঠ করেন হনুমান চালিসা। আদৌ সঠিক নিয়ম পালেন তো? তা না হলেই কার্যকরী হবে না হনুমান চালিসা পাঠ। তাই সময় থাকতে জেনে নিন হনুমান চালিসা পাঠের সঠিক নিয়ম সহ কার্যক্ষমতা (Hanuman chalisa reading benefits)।

কবে পাঠ করবেন হনুমান চালিসা (Hanuman chalisa)?

হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, সপ্তাহের সাতটি দিনই কোনো না কোন দেব-দেবীর জন্য উৎসর্গীকৃত। তেমনি বজরংবলীর জন্য উৎসর্গীকৃত দিন হলো মঙ্গলবার। বহু জায়গায় মঙ্গলবারে হনুমানজির পূজা করা হয়। শুধু পূজা নয়, বজরংবলী ভক্তরা মঙ্গলবারে বজরংবলীর পূজার পাশাপাশি পাঠ করেন তুলসীদাস রচিত হনুমান চালিসা। যা পাঠ করলে মোক্ষ লাভ করা যায়। হনুমানজির বিশেষ আশীর্বাদ বর্ষিত হয় সেই ব্যক্তির উপর। তবে নিজের ইচ্ছেমতো যখন তখন পাঠ করলেই হবে না। এই হনুমান চালিসা পাঠে রয়েছে নির্দিষ্ট নিয়ম। তবেই সেই পাঠের উপকারিতা পাওয়া যাবে। হনুমান চালিসা পাঠে কি উপকারিতা রয়েছে?

হনুমান চালিসা পাঠের কার্যকারিতা (Hanuman chalisa reading benefits)
  • এই মনুষ্যজীবনে যদি মোক্ষলাভ করতে চান তাহলে পাঠ করুন হনুমান চালিসা।
  • বিপদের রক্ষাকর্তা বলা হয় হনুমানজিকে। ফলেই নির্দিষ্ট নিয়মে যদি হনুমান চালিশা পাঠ করেন তাহলে হনুমানজির আশীর্বাদে অর্থ সংকট সহ নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • জ্ঞানের প্রসার ঘটাতে চান? বুদ্ধিমান হতে চান? তাহলে ছাত্র জীবনে পাঠ করুন হনুমান চালিসা। যা অত্যন্ত শুভ ফলদায়ক।
  • শক্তি সাহসের প্রতীক বজরংবলী। তাই হনুমান চালিসা পাঠ করলে শক্তি ও সাহসের অধিকারী হতে পারবেন। সেই ব্যক্তির জীবনে ভয় বলে কোনো কিছুই থাকবে না। তবে এই সব কিছু তখনই লাভ করা যাবে যখন আপনি সঠিক নিয়মে হনুমান চালিশা পড়বেন। তাই জেনে নিন হনুমান চালিসা পাঠের নির্দিষ্ট নিয়ম।
হনুমান চালিসা কিভাবে পাঠ করবেন
  • প্রথমত, হনুমান চালিসা পাঠের দিন হিসেবে বেছে নিতে হবে মঙ্গলবারকে। এই দিনেই নির্দিষ্ট নিয়মে পাঠ করতে হবে হনুমান চালিসা। অন্য দিনে পাঠ করলে পাঠের কোনো কার্যকারিতা পাওয়া যাবে না।
  • হনুমান চালিসা পাঠের প্রথম নিয়ম হল সকাল বেলা উঠে স্নান সেরে পরিষ্কার পোশাক পরিধান করা।
  • স্নান সেরে পোশাক পড়ে করতে হবে বজরংবলীর পুজো। তার জন্য কুস বা অন্য কোনো আসনে বসে বজরংবলীর পুজো করতে পারেন।
  • বজরংবলীর পুজোর সময় প্রথমে আরাধনা করতে হবে সিদ্ধিদাতা গণেশের।
  • তারপর প্রণাম করুন রাম ও সীতাকে। এরপরে হনুমানজিকে প্রণাম করে হনুমান চালিসা পাঠের সংকল্প নিতে হবে।
  • তার জন্য বজরংবলীর কাছে অর্পণ করুন ফুল এবং জ্বালান ধুপ-বাতি। তারপর শুরু করুন হনুমান চালিসা।
  • হনুমান চালিসা পাঠের আগে যেমন রাম সীতাকে স্মরণ করবেন তেমন পাঠ সমাপ্তির পরেও স্মরণ করবেন হনুমানজির পরম ভক্ত রামকে।
  • সর্বশেষে হনুমানজির কাছে ভোগ হিসেবে নিবেদন করবেন বোঁদে বা বেসনের লাড্ডু। উপরে উল্লিখিত এই নিয়মগুলি যদি সঠিকভাবে পালন করেন দেখবেন বজরংবলী সর্বদা আপনার উপর সদয় রয়েছে। কোনো বিপদেই আপনাকে প্রভাবিত করতে পারবে না।