Ashtami anjali mantra: আর সবার সঙ্গে ঠোঁট নাড়তে হবে না! অষ্টমীর অঞ্জলী মন্ত্র জেনে নিন আগেই

Know Ashtami Anjali Mantra before Puja: আজ মহালয়ার মাধ্যমে শুরু হয়ে গেলো দেবীপক্ষ। কাল থেকে শুরু অবাঙালি দের নবরাত্রি।আর মাত্র কয়েকদিন অর্থাৎ আগামী শুক্রবার থেকে বাঙালিরা শুরু করবে দেবীর আরাধনা। শুক্রবার ষষ্ঠী অর্থাৎ মায়ের বোধন। ষষ্ঠীতে মায়ের বোধন এবং প্রাণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেবীর যে আরাধনা শুরু হবে তার সমাপ্তি ঘটবে দশমীর বিসর্জনে। দূর্গা পূজার কয়েকটি দিনের মধ্যে অষ্টমীর দিনটি বাঙালির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকালবেলা স্নান সেরে, নতুন জামা কাপড় পড়ে পাড়ায় পাড়ায় পূজা মন্ডপে অঞ্জলি দিতে হাজির হন অনেকেই (Ashtami anjali mantra)।

ছোট বড় প্রত্যেকের কাছেই এই অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেওয়া অত্যন্ত আনন্দের একটি বিষয় হিসাবে দেখা হয়। দূর্গা পূজার প্রতিদিন ই পুজোর আলাদা আলাদা মন্ত্র আছে। তবে জানা যায় পুষ্পাঞ্জলির এই মন্ত্র নিয়ে নানা মানুষের নানা মত রয়েছে। অনেকেই মনে করেন পুজোর তিথি অনুযায়ী এই মন্ত্রের ভিন্নতা প্রকাশ পায়। আবার অনেকেই মনে করে চার দিনের পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র একই। সাধারণত যে নিয়মে পুজোর সমস্ত আচার পালন করা হয় তাতে আলাদা আলাদা মন্ত্রের মাধ্যমেই প্রতিদিন অঞ্জলি দেওয়ার রীতি রয়েছে (Ashtami anjali mantra)।

জ্যোতিষবিদ এবং পঞ্জিকা বিশেষজ্ঞ পরান ঠাকুরের মতেও বাংলার প্রায় সব জায়গায় ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমী পূজোর ক্ষেত্রে আলাদা পুষ্পাঞ্জলির মন্ত্রের মাধ্যমেই অঞ্জলি দেন প্রত্যেকে। পারিবারিক পুজোর ক্ষেত্রেও এই নিয়মটিকে কঠোরভাবে মেনে চলা হয়। পরান বাবু নিজে দুর্গা এবং কালীপুজোয় অত্যন্ত পারদর্শী। তাই তিনি বলেন অনেক ক্ষেত্রে পুরোহিতরা চন্ডীপাঠ এর মন্ত্রকে পুষ্পাঞ্জলির মন্ত্র হিসেবে বেছে নেন। তবে তার মতে পদ্ধতি ঠিক নয়। কারণ তিনি জানেন পুষ্পাঞ্জলির মন্ত্রগুলি রয়েছে কালিকাপুরাণের মধ্যে। মহাষ্টমীর বিশেষ তিথিতে যে মন্ত্রটির (Ashtami anjali mantra) মাধ্যমে মায়ের অঞ্জলি দেওয়া উচিত বলে তিনি জানিয়েছেন নিচে সেটি রইলো আপনাদের জন্য।

প্রথমবার হাতে ফুল, বেলপাতা নিয়ে বলতে হবে –
১) নষঃ মহিষগ্নি মহামায়ে চামুন্ডে মুন্ডমালীনি।
আয়ুরারোগ্য বিজয়ং দেহি দেবী নমোস্ততে।।
মন্ত্র বলা শেষে এই ফুল দেবীর চরণে অর্পণ করতে হবে।

দ্বিতীয়বার হাতে আবার নিতে হবে ফুল এবং বেলপাতা। পুষ্পাঞ্জলিতে শিউলি ফুল পেলে দেবী ভীষণ খুশি হন। তাই দ্বিতীয়বারে ফুল, বেলপাতার সঙ্গে যদি শিউলি ফুল দেওয়া যায় তাহলে দেবী দুর্গার আশীর্বাদ লাভ করা যায়। দ্বিতীয়বার বলতে হবে এই মন্ত্র-

২) সৃষ্টি-স্থিতি-বিনাশানাং শক্তিভূতে সনাতনি।
গুণাশ্রয়ে গুণময়ে নারায়ণি নমোহস্তু তে।।
এরপর সেই ফুল আবার দেবীর চরণে অর্পণ করতে হবে।

তৃতীয়বার আবার হাতে নিতে হবে ফুল এবং বেলপাতা। সঙ্গে পদ্মফুল থাকলে খুবই ভালো হয়। না থাকলে যেকোনো ফুল নিতে হবে। এরপর বলতে হবে-
৩) শরণাগত – দীনার্ত্ত – পরিত্রাণ – পরায়ণে।
সর্ব্বস্যার্ত্তিহরে দেবী নারায়ণি নমোহস্তু তে।।
এষ সচন্দন-পুষ্পবিল্বপত্রাঞ্জলিঃ নমঃ দক্ষযজ্ঞ বিনাশিন্যে মহাঘোরায়ৈ যোগিনী
কোটিপরিবৃতায়ৈ ভদ্রকাল্যৈ ভগবত্যৈ দুর্গায়ৈ নমঃ।।
এরপর এই ফুল অর্পণ করে দিতে হবে দেবীর পায়ে। তারপর জোড়হাত করে দেবীকে প্রণাম করতে হবে। দেবীর প্রণাম মন্ত্র-

জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী
কপালিনী। দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোস্ত তে।।
ওঁ সর্বমঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে।
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরি নারায়ণি নমোহস্তু তে।।