Know the benefits of burning frankincense at home: হিন্দু ধর্ম অনুসারে যে কোনো দেবদেবীর পুজো করার সময় সুগন্ধি ধূপ ধুনো জ্বালানো হয়। দেবতার রোজকার পুজো, আরতিই হোক, বা বিশেষ কোনো পুজো, সব কিছুতেই ধূপ ধুনোর ব্যবহার করা হয়। শাস্ত্র অনুসারেও গুগ্গল সহ ধূপ ধুনো জ্বালানো নিয়ম রয়েছে। তবে গুগ্গল যে শুধুমাত্র পুজোর কাজেই ব্যবহৃত হয় এমন নয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারেও এই গুগ্গলের গুরুত্ব অপরিসীম। জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বাড়িতে পুজোর সময় গুগ্গল জ্বালানো (Benefits of burning frankincense) হলে দেবতারা তো তুষ্ট হন, সেই সঙ্গে গৃহস্থ বাড়িতে বিরাজ করা নেগেটিভ শক্তি নিমেষে দূর হয়ে যায়।
শুধু তাই নয় জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে বিশ্বাস করা হয় বাড়িতে পুজোর সময় গুগ্গল জ্বালালে (Benefits of burning frankincense) তার শুভ প্রভাবে সেই ভক্তের অর্থনৈতিক সমস্যা দূর হয়ে যায়। দেখে নিন শাস্ত্র মতে গুগ্গল আসলে কি কি উপকার করে।
১) শাস্ত্র ও জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা বলেন আমাদের চারপাশে নেগেটিভ এবং পজেটিভ এই ২ ধরনের শক্তি থাকে। কোনো কারণে যদি বাড়িতে নেগেটিভ শক্তি প্রভাব বিস্তার করে তবে সেই পরিবারের সদস্যদের নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু শাস্ত্র অনুসারে নেগেটিভ শক্তি যদি বাড়িতে প্রভাব বিস্তার করে তবে লোবান জ্বালিয়ে এর থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব হয় (Benefits of burning frankincense)। এটি জ্বালালে বাড়িতে ধীরে ধীরে পজেটিভ শক্তি প্রবেশ করে এবং বাড়ি থেকে দূর হয়ে যাওয়া সুখ-শান্তি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।
২) বাড়িতে যদি কোনো অশুভ দৃষ্টির প্রভাব বর্ষিত হয় তবে গুগ্গলের সঙ্গে সরষের তেল, ঘি ইত্যাদি মিশিয়ে জ্বালিয়ে দিলে অত্যন্ত শুভ ফল লাভ হয়। বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে এই কাজটি টানা ১১ দিন ধরে করলে কুনজরের প্রভাব গুলি দূর হয়ে যায়।
৩) শাস্ত্র অনুসারে মনে করা হয় গুগ্গল সহ ধূপ ধুনো বাড়িতে জ্বালালে (Benefits of burning frankincense) শনিদেব অত্যন্ত প্রসন্ন হন। কোনো জাতক জাতিকার জন্ম কুণ্ডলীতে যদি শনি দোষ থাকে এবং সেই দোষের প্রভাবে যদি জীবনে নানা ধরনের বাধা-বিপত্তি সৃষ্টি হয় তবে গুগ্গল জ্বালিয়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ করা সম্ভব। এই ধূপ জ্বালালে আবার বাস্তু দোষ থেকেও মুক্তি মেলে।
৪) জীবনে নেতিবাচকতা বৃদ্ধি পেলে এবং ব্যর্থতা জীবনের সঙ্গী হলে গুগ্গলের (Benefits of burning frankincense) সঙ্গে গুড় ও গোবর দিয়ে তৈরি ঘুঁটে পুড়িয়ে দিলে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব হয়। এর শুভ প্রভাবে ধীরে ধীরে সমস্ত নেতিবাচক কেটে যায় এবং কর্মক্ষেত্র সহ জীবনের নানা ক্ষেত্রে ব্যর্থতা দূর হয়ে গিয়ে সফলতা সুনিশ্চিত হয়।
