Kartik purnima Ganga Snan: কার্তিক পূর্নিমার পৌরাণিক গুরুত্ব জানুন! সঙ্গে জেনে নিন এই দিনে গঙ্গাস্নানের শুভ ক্ষণ!

Know the mythological significance of Kartik Purnima and the timing of Ganga Snan: বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছরের সপ্তম বাংলা মাস কার্তিক শাস্ত্রে অত্যন্ত পবিত্র একটি মাস বলে বিবেচিত হয়। একারণেই কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ নানা উৎসব পালনের মাধ্যমে আনন্দে মেতে ওঠেন। কার্তিক মাসকে বলা হয় ভগবান বিষ্ণুর মাস। সময় ভগবান বিষ্ণুকে সত্যনারায়ণ রূপে পুজো করা হয়। এই সময় নিষ্ঠা ভরে তার আরাধনা করার পাশাপাশি ভগবান সত্যনারায়ণের কাছে নিজের মনের ইচ্ছার কথা জানানো হয়। কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে (Kartik purnima Ganga Snan) ভগবান বিষ্ণুর পাশাপাশি চন্দ্রদেবেরও উপাসনা করা হয়। এই দিন উপবাস সহকারে বিষ্ণুদেবের আরাধনা করলে দেবী লক্ষী এবং শ্রীবিষ্ণু উভয়ই সন্তুষ্ট হন।

এ বছর কার্তিক পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে আজ অর্থাৎ ২৬ নভেম্বর ২০২৩, দুপুর ৩ টে ৫৩ মিনিট থেকে। এবং এই পূর্ণিমা তিথি শেষ হবে ২৭ নভেম্বর ২০২৩, দুপুর ২টো ৪৫ মিনিটে। প্রাচীন হিন্দু পুরাণ অনুসারে বিশ্বাস করা হয় কার্তিক পূর্ণিমার (Kartik purnima Ganga Snan) প্রাক্কালে ভগবান বিষ্ণুদেব মৎস্য অবতার রূপে আবির্ভূত হন এবং এই ধরাধামকে সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা করেন। এই শুভ দিনে ভক্তরা সত্যনারায়ণ এর পুজো উপলক্ষে উপবাস পালন করার সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গাস্নান সম্পন্ন করেন। এই দিন হরিদ্বার, বারাণসী, ঋষিকেশ এবং অন্যান্য পবিত্র স্থানগুলির গঙ্গায় অগণিত মানুষ উপস্থিত হন গঙ্গা স্নানের উদ্দেশ্যে।

হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে এই পূর্ণিমাকে এবার ত্রিপুরারী পূর্ণিমা নামেও চিহ্নিত করা হয়। কারণ পুরাণে কথিত আছে এই শুভ দিনে ভগবান শিব শক্তিশালী ত্রিপুরাসুর রাক্ষসকে হত্যা করে দেবতাদের অসুরদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন। ত্রিপুরাসুর হত্যার পর আনন্দে আত্মহারা দেবতারা দীপের আলোয় আলোকিত করেছিলেন গোটা স্বর্গরাজ্য-কে। এ কারণেই এই কার্তিক পূর্ণিমার দিনটি আবার দেব দীপাবলি নামেও পরিচিত। প্রধানত দেবক্ষেত্র বারাণসীতে এই দেব দীপাবলি ব্যাপক জাঁকজমকের সঙ্গে উদযাপন করা হয়।

কার্তিক পূর্ণিমা দিনটি (Kartik purnima Ganga Snan) আবার গুরু নানক জয়ন্তী নামেও পরিচিত। এদিন গুরু নানকের জন্মদিন। শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষরা এই দিন তাদের গুরু নানককে শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রার্থনা করেন এবং গুরুদ্বারে বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে এই দিনটির তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কার্তিক পূর্ণিমার এই বিশেষ দিনে বিভিন্ন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ, ভগবান নারায়ণ এবং দেবাদিদেব মহাদেবের মন্ত্র জপ, কোনো অসহায় দুঃস্থ মানুষকে কিছু দান, গঙ্গাস্নান এবং গঙ্গার ঘাটে মাটির প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ইত্যাদির মাধ্যমে দেবতার আশীর্বাদ লাভ করা যায় এবং ভগবানের আশীর্বাদে জীবন সুখ সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে।