Mahalaya tarpan myths: এবারের মহালয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ! শাস্ত্র কি বলছে?

Learn about the myths of Mahalaya’s tarpan of the day: পিতৃপক্ষের অবসানের পর সর্বপিতৃ অমাবস্যা তিথিতে যে দেবীপক্ষের শুভ সূচনা হয় সেই দেবীপক্ষে আমরা আরাধনা করি মা দুর্গার। মহালয়া থেকেই দেবী দুর্গার জন্য অপেক্ষার প্রহর গোনা শুরু করে বাঙালি। প্রতিবছরই মহালয়ার পূণ্য তিথিতে তর্পণ -এর মাধ্যমে পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্য শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার রীতি বহু যুগ ধরে চলে আসছে। কিন্তু এ বছরের মহালয়া একটি বিরল যোগ সৃষ্টি করেছে। ২০২৩ সলের মহালয়া পড়েছে আগামী ১৪ ই অক্টোবর অর্থাৎ শনিবার। এ বছর ওই দিন সূর্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে (Mahalaya tarpan myths)।

সাধারণত মনে করা হয় পিতৃপক্ষের শেষ দিন অমাবস্যা তিথিতে এই মহালয়া অনুষ্ঠিত হয়। পুরাণ অনুযায়ী মনে করা হয় এই দিনটিতে আমাদের মৃত পূর্ব পুরুষদের আত্মা নিজের বংশধরদের থেকে অন্ন-জল গ্রহণ করবেন বলে মর্ত্য লোকে নেমে আসেন। বংশধররা গঙ্গার ঘাটে গিয়ে তর্পণ করার মাধ্যমে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে এই অন্ন জল প্রেরণ করেন। মহালয়ার এই বিশেষ দিনে তর্পণ বা পিন্ডদানের মাধ্যমে শ্রাদ্ধকার্য সম্পন্ন হলে পূর্বপুরুষরা তৃপ্ত হন (Mahalaya tarpan myths)।

চলতি বছর এই মহালয়ার পূণ্য তিথিটি শনিবার পড়েছে (Mahalaya tarpan myths)। সেই সঙ্গে অমাবস্যার পূণ্য যোগে সূর্যগ্রহণ সম্পন্ন হবে। তাই শাস্ত্র অনুযায়ী মনে করা হচ্ছে এই বিশেষ যোগ হতে চলেছে অত্যন্ত শুভফল দায়ী। মহালয়া দিনটি শনিবার পড়ায় অনেকেই একে শনিশ্চরী অমাবস্যা বলে চিহ্নিত করেছেন। আবার অনেকেই এই অমাবস্যাকে পিতৃমোক্ষ অমাবস্যা বা পিতৃ অমাবস্যা বলেও উল্লেখ করেছেন করেছেন।

এবছর এই বিরল যোগ গুলি একসঙ্গে পড়ার কারণে ১৪ অক্টোবর সারা দিনই তর্পণ কার্য সম্পন্ন করা যাবে। সকালে স্নান করে সাদা পোশাক পড়ে একজন ব্রাহ্মণের সাহায্যে পূর্বপুরুষের শ্রাদ্ধকার্য সম্পন্ন করার পর পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্য পুরী, ক্ষীর, সবজি নিবেদন করে এবং ব্রাহ্মণ ভোজন করিয়ে তারপর নিজে খাবার গ্রহণ করা উচিত। সেই সঙ্গে এই দিন বাড়ির প্রত্যেকের একসঙ্গে খেতে বসে এবং উদ্দেশ্যে খাদ্য নিবেদন করে তারপর নিজে খেলে পূর্বপুরুষের আশীর্বাদ লাভ করা যায় (Mahalaya tarpan myths)।