Mahamrityunjaya Mantra: যমরাজকেও ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে এই মন্ত্রে! জেনে নিন পুরান কথা

Yamaraj also had to return empty handed because of this Mahamrityunjaya Mantra: যেকোনো প্রাণের ক্ষেত্রেই জন্মগ্রহণ করলে মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর অনিবার্যতা কেউই খন্ডাতে পারে না। যার ভাগ্যে লিখন-এ যেভাবে মৃত্যু লেখা আছে সেই সময়ই তাকে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে পরলোকের উদ্দেশ্য গমন করতে হয়। মৃত্যু দেবতা যমরাজ সেই দিনটির জন্যই অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু আপনি কি জানেন প্রাচীন ধারণা অনুযায়ী একটি বালক পেরেছিল মৃত্যুকে খন্ডন করতে (Mahamrityunjaya Mantra)। মৃত্যু দেবতা যমরাজ এলেও তাকে ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে।

কিন্তু কে কিভাবে এই বালকের মৃত্যু খন্ডন করতে সাহায্য করেছিলেন জানেন? পুরান অনুসারে জানা যায় মৃকন্ডু ঋষি এবং তার স্ত্রী মরুদবতী উভয়েই অত্যন্ত দেব ভক্ত ছিলেন। ঋষি ভগবান মহেশ্বরের এবং ঋষি পত্নী দেবী দুর্গার আরাধনা করতেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের কোন সন্তান লাভ হয়নি। তারা সে সময় সন্তান লাভের আশায় মহাদেবের ধ্যান করা শুরু করেন। তাদের কঠোর তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাদের দর্শন দেন। মহাদেব জিজ্ঞেস করেন তারা কি ধরনের পুত্র চান মূর্খ দীর্ঘজীবী নাকি জ্ঞানী ক্ষণজীবী।

এ সময় ঋষি দম্পতি মূর্খ পুত্রের চেয়ে জ্ঞানী ক্ষণজীবী পুত্রই চান। এর এক বছর পর জন্ম লাভ করে ঋষি পুত্র মার্কণ্ডেয়। তবে মাত্র ১৬ দিন আয়ু নিয়ে সে জন্ম লাভ করে। এই কথা শুনে অত্যন্ত ভেঙে পড়ে ঋষি পত্নী মরুদবতী নিজের সন্তানের দীর্ঘায়ু কামনায় আদ্যা শক্তির জপ করা শুরু করেন। ভক্তের প্রার্থনায় তুষ্ট হয়ে মা মহামায়া ব্রহ্মার কাছে যান। এ সময় প্রজাপতি ব্রহ্মা স্বর্গের ২৬ দিন অর্থাৎ মর্তের ১৬ বছর পর্যন্ত আয়ু বৃদ্ধি করেন সেই ঋষিপুত্রের (Mahamrityunjaya Mantra)।

আদ্যা শক্তি দেবী মহামায়া ঋষি পুত্রকে একটি শিবলিঙ্গ প্রদান করেন। এবং শিবলিঙ্গের সামনে বসে ক্রমাগত মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করার নির্দেশ দেন (Mahamrityunjaya Mantra)। তার ১৬ বছর বয়স হলে যমরাজ তাকে নিতে এলে মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করা বালক শিবলিঙ্গের সামনে থেকে যেতে অস্বীকার করে। এই সময় ভক্তকে রক্ষা করতে আবির্ভূত হন ভগবান মহাদেব। এবং মহাদেব মার্কন্ডেয়কে দীর্ঘ জীবনের বর দেন। এর ফলে যমরাজ ব্যর্থ হয়ে খালি হাতে ফিরে যান। এবং ঋষি পুত্রের আয়ু ১৬ বছর থেকে ষোলো’শ কল্পে পরিণত হয়।